আজকাল ওয়েবডেস্ক: যৌনতা, গ্ল্যামার আর ক্ষমতার সংজ্ঞা বদলে দিয়েছিল এই হাই হিল, এক জোড়া লাল, পেনসিল-ধারালো হিল—আর তার সঙ্গেই জেগে ওঠে এক মোহময়ী যুগের স্মৃতি। ১৯৫০-এর দশকে পর্দায় যখন এলিজাবেথ টেলর বা মারিলিন মনরোর শরীরী ছটায় কাঁপছিল দর্শকদৃষ্টি, তখনই স্টিলেটো হিল নামক এক ‘অস্ত্র’ হয়ে উঠেছিল নারীত্বের কামুকতা আর আত্মবিশ্বাসের চূড়ান্ত প্রকাশ। এই হিল কিন্তু শুধু একটি ফ্যাশন নয়, বরং এক সুগভীর শরীরী বার্তা। কোমর একটু বাঁকানো, নিতম্ব উঁচু, পেশিতে টানটান টান, কয়েক ইঞ্চি উচ্চতা বাড়িয়ে—স্টিলেটো নারীর চলার ছন্দে এনে দিয়েছিল এমন এক উত্তেজনা, যার থেকে চোখ ফেরানো কঠিন ছিল পুরুষদের পক্ষে।
নামটি এসেছে ইতালীয় এক ছুঁচালো ছুরির নাম থেকে—‘স্টিলেটো’। ১৯৫০ সালে, বিমানবাহী জাহাজে ব্যবহৃত প্রযুক্তি জুতো তৈরিতে প্রয়োগ হতেই, জন্ম নেয় এই হিল। ডিজাইনার সালভাতোর ফেরাগামো, রজার ভিভিয়ের ও আন্দ্রে পেরুগিয়া—তিন পুরুষের হাত ধরেই তৈরি হয় নারীর ‘ঘাতক সৌন্দর্য’-এর এই বাহন।
প্রথম মারিলিন মনরোই চার ইঞ্চি উঁচু হিল পরে মঞ্চে এলেন, আর মুহূর্তে বদলে গেল বিশ্ব ফ্যাশনের ধারা। স্টিলেটো হয়ে উঠল গ্ল্যামারের প্রতীক, যৌবনের শরীরী অস্ত্র। পুরুষের আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে ওঠা এই হিল নারীকে দিল অন্যরকম ক্ষমতা—যৌন আবেদন আর আত্মপ্রতিষ্ঠার মাঝখানে এক বিপজ্জনক সেতুবন্ধন।
যদিও ১৯৭০-এর দশকে কিছুটা থমকে গিয়েছিল স্টিলেটোর যাত্রা, তবু ১৯৮০-তে ‘পাওয়ার ড্রেসিং’-এর যুগে আবার ফিরে এল তা। আর ১৯৯০-এর দশকে ‘Sex and the City’ নামক জনপ্রিয় শোয়ের নায়িকাদের পায়ে বারবার ঝলসে উঠতেই, এই হিল হয়ে উঠল রোজকার জীবনেরও সঙ্গী।আজও স্টিলেটো সেই একই বার্তা বহন করে—যৌনতা, আত্মবিশ্বাস, আর এক টুকরো আগুন।
