আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ বেশি পরিশ্রম করলে বা একঘেয়েমি জীবনযাপনের কারণে ক্লান্তি আমাদের শরীরকে আঁকড়ে ধরে। ফলস্বরূপ প্রবল হাই উঠতে থাকে একটু সময় পর পরই। রাস্তাঘাটে বা অফিসে এই কারণে বিরম্বনায় পড়তে হয়।কিছু হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জন্যও হাই ওঠে।এতে হার্ট রেট বেড়ে যায়।ক্লান্ত শরীরকে জাগিয়ে রাখতে এবং সচেতন রাখতেও আমাদের হাই ওঠে। কিন্তু সেটা খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হলেই ভাল। চিকিৎসকদের মতে, যদি আপনি ১৫ মিনিটে ৩ বারের বেশি হাই তোলেন, তবে সেটি স্বাভাবিক নয়।সেক্ষেত্রে আপনার শরীরে বাসা বেঁধে থাকা কিছু অসুখ এর কারণ হতে পারে।
হার্ট অ্যাটাকে ঘন ঘন হাই উঠতে পারে।শরীর যখন পর্যাপ্ত অক্সিজেন পেতে বাধা পায় তখন ঘন ঘন হাই ওঠে। অক্সিজেনের জোগান অব্যহত রাখতে বেশি হাই উঠতে দেখা যায়।পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পৌঁছলে হার্ট সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। সুতরাং বার বার হাই তোলার বিষয়টিকে মোটেই হালকাভাবে নেবেন না।নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়ুন।এতে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ হয়।
চিন্তা, স্ট্রেস ও টেনশনের কারণেও ঘন ঘন হাই ওঠে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোন কারণে অত্যধিক মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের মধ্যে সবসময় থাকলে বেশি হাই ওঠে।এতে সরাসরি চাপ পড়ে মস্তিষ্কের উপর।তাই পার্কিনসন্স রোগ বা মাইগ্রেনের মত সমস্যায় শরীরে একটা ক্লান্তিবোধ থাকে।
ঘুম কম হলে হাই ওঠে এবং ক্লান্ত লাগে তা আমরা সবাই জানি।কিন্তু ঘুমের পরিমাণ পর্যাপ্ত কেন হচ্ছে না সেই বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার।স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ইনসমনিয়ার মত মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হলে ঘুম আসতে সমস্যা বা কম ঘুম হয়। তাছাড়া অ্যান্টিসাইকোটিক, ডিপ্রেশন কমানোর ওষুধ বা স্নায়ুর রোগের ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও সারাক্ষণ ঝিমুনি বা আচ্ছন্ন ভাব থাকে।সেই থেকেও হাই উঠতে পারে।
পর্যাপ্ত ঘুমিয়েও প্রচন্ড ক্লান্ত লাগছে, হাই উঠছে।এমন অবস্থা শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার জন্য হতে পারে।শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে মস্তিষ্কের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়।সেই সময় খুব বেশি করে হাই উঠতে পারে। এমন হলে ঠান্ডা জল খেয়ে নিলে সমস্যার সমাধান হবে।
