আজকাল ওয়েবডেস্কঃ প্রবল গরমে সুস্থ থাকাই চ্যালেঞ্জ। গ্রীষ্মকালে তেলঝালযুক্ত মশলাদার খাবার খেলে বাড়ে বদহজম। সুষম আহার না হলেও কাহিল হয়ে পড়ে শরীর। আবার অনেকেরই ওজন কমানোর চেষ্টা চলতে থাকে। তাই গরমে চাই এমন ডায়েট যা পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি শরীর রাখবে ঠান্ডা, সঙ্গে ঝরবে মেদও। ঠিক কীভাবে খাওয়াদাওয়া করলে সুফল পাবেন? জেনে নিন পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক অনন্যা ভৌমিকের পরামর্শ। 

•    হাইড্রেটেড থাকুনঃ  গরমে শরীরে জলশূন্যতার সমস্যা দেখা দেয়। তাই পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। রোজ অন্তত ৮-১০ গ্লাস জল খান অথবা খুব বেশি সক্রিয় থাকলে তার বেশিও খেতে পারেন। এছাড়াও জলের পরিমাণ বেশি রয়েছে এমন খাবার ডায়েটে রাখুন। যেমন শসা, তরমুজ, স্ট্রবেরি, লাউ, ঝিঙে ইত্যাদি।

•    তাজা ফল ও সবজি বেশি খানঃ গরমে প্রচুর টাটকা সবজি ও ফল পাওয়া যায়। খাদ্যতালিকায় টমেটো, বেল পেপার, জুকিনি, বেরি, পীচ এবং ভুট্টার মতো মরশুমি খাবার রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়াও পাতাযুক্ত সবুজ শাক, রঙিন সবজি, বাদাম, বীজ এবং হালকা ড্রেসিংয়ের মিশ্রণ ব্যবহার করে স্যালাড খেতে পারেন।

•    হালকা ও সুষম খাবারঃ একবারে অনেকটা ভারী খাবার না খেয়ে গরমে অল্প পরিমাণে বারে বারে খান। ডায়েটে চর্বিহীন প্রোটিন যেমন মুরগির মাংস, মাছ, টফু এবং ডাল রাখুন। তবে খুব বেশি তেল মশলা দিয়ে কষিয়ে রান্নার পরিবর্তে গ্রিলড কিংবা বেকড খাওয়াই শ্রেয়।

•    স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসঃ টুকটাক খিদে পেলে দই, হামাস, এক মুঠো বাদাম খেতে পারেন। এছাড়াও গরমে ফল দিয়ে ঠান্ডা টক দই খেলেও বেশ তরতাজা লাগবে।

•    সীমিত চিনিযুক্ত ও প্রসেসড খাবারঃ গরমে চিনিযুক্ত সোডা কিংবা এনার্জি ড্রিঙ্ক এড়িয়ে চলুন। বদলে ঘরে তৈরি ফলের রস কিংবা আইসড ভেষজ চা খেতে পারেন। আইসক্রিম খেতে মন চাইলে প্রাকৃতিক অথবা কম চিনিযুক্ত বিকল্পগুলি বাছুন।

•    শরীরচর্চার আগে-পরেঃ যদি আপনি বাইরে ব্যায়াম করেন তাহলে এক্সারসাইজের আগে ও পরে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন রয়েছে এমন হালকা খাবার অথবা স্ন্যাকস খান। অনেকক্ষণ বাইরে থাকতে হলেও এনার্জি পেতে ট্রেইল মিক্স কিংবা প্রোটিন বারের মতো খাবার সঙ্গে রাখুন।

•    মদ্যপানে সংযমঃ আড্ডা, অবসরে অনেকেরই বিয়ার কিংবা ককটেল খাওয়ার প্রবণতা থাকে। কিন্ত সুস্থতার জন্য মদ্যপানে সংযম থাকা জরুরি। সেক্ষেত্রে মদ্যপান করলেও সবসময় পর্যাপ্ত জল খেতে ভুলবেন না।

•    পরিমাণে নিয়ন্ত্রণঃ গরমে অনেক সময়ে খিদে কমে যায়। আর সকলের শরীরও এক রকম নয়। আপনার শরীর কী চায় তা বোঝার চেষ্টা করুন। শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ পুষ্টি এবং ক্যালোরি যাচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন।