আজকাল ওয়েবডেস্ক: পিরামিড বললেই মাথায় আসে মিশরের কথা। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে মিশরের বাইরেও রয়েছে এমন কিছু পিরামিড যেগুলি আজও আবৃত হয়ে রয়েছে রহস্যে। তেমনই একটি পিরামিড রয়েছে মেক্সিকোতে। সেখানে অবশ্য এটিকে মন্দির হিসাবে কল্পনা করেন স্থানীয়রা। নাম কেতসালকোআট মন্দির। স্থানীয়দের মতে এখানে এক সর্পদেবতার বাস।
এই মন্দির ঘিরেই বাসা বেঁধেছে নতুন রহস্য। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে এই স্তূপকে ঘিরে প্রায় দু’হাজার বছর আগে গড়ে উঠেছিল টায়োহুয়াকান নামের এক শহর। সম্প্রতি এই পিরামিডের তলায় আবিষ্কার হয়েছে এক ৩৩৮ ফুট লম্বা সুড়ঙ্গ। কিন্তু এই সুড়ঙ্গে প্রবেশ করা প্রায় অসম্ভব। কারণ এই সুড়ঙ্গ ভরাট করা আছে তরল পারদ দিয়ে। প্রসঙ্গত তরল অবস্থায় পারদ মারাত্মক বিষাক্ত ও প্রাণঘাতী। তাই সুড়ঙ্গের অপর প্রান্তে কী আছে তা নিশ্চিত ভাবে বলা অসম্ভব।
মেক্সিকোর এক গবেষক সার্জিও গোমেজের দাবি এই সুড়ঙ্গের অপর প্রান্তে রয়েছে এক অজানা সভ্যতার হদিস। তাঁর দাবি, এই পিরামিড যাঁরা নির্মাণ করেন তাঁরা প্রযুক্তির দিক থেকে অত্যন্ত উন্নত এবং মেসোআমেরিকান সভ্যতার বাসিন্দা। তবে সার্জিওর দাবি মানতে নারাজ ইতিহাসবিদদের একটি বড় অংশ। তাঁদের দাবি, ২০১৫ সালে প্রথমবার এই সুড়ঙ্গের কথা জানা যায়। সম্প্রতি সেই গবেষণা নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে বলেই এত শোরগোল।
