আজকাল ওয়েব ডেস্ক: শুধু বাঙালির নয়,বিয়ে মানেই সব ধরনের জাতির আলাদা প্রথা।ভারতবর্ষ সহ প্রতিটি দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিয়ের অনুষ্ঠানের নানান নিয়ম রয়েছে। ধর্ম, স্থান অনুযায়ী রীতি রেওয়াজও পৃথক। শুধু বিয়ের দিনই আচার অনুষ্ঠানে ঠাসা তা নয়। বিয়ের কয়েকদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় একাধিক নিয়ম। হৈ হুল্লোর করে নানা রকম মজার ছলে বিভিন্ন রীতি নীতি পালন করা হয়।কথায় আছে,সব নিয়মই শুভ।এই শুভ অনুষ্ঠানে স্ত্রীআচার, নিয়ম প্রত্যেকটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলার একটাই উদ্দেশ্য,নব দম্পতিরকে আশির্বাদ করা। তাদের আগামী জীবনের জন্য শুভকামনা প্রার্থনা করা।এরই মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু জাতির 'অদ্ভুত' বিয়ের প্রথা জানলে তাজ্জব হবেন আপনিও। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
ইন্দোনেশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিডং জাতির বিয়ের রীতি একেবারে অবাক করার মতো।এই জাতির বিয়ের নিয়ম অনুযায়ী,সদ্য বিবাহিতরা শৌচাগার ব্যবহার করতে পারেন না। সেখানে বিয়ের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ এই প্রথা। নবদম্পতিকে বিয়ের পর তিন দিন বাথরুমে যেতে বাধা দেওয়া হয়। এমন নিয়মের পিছনে কারণ হিসাবে কথিত রয়েছে, বিয়ের পর শৌচাগারে গেলে নবদম্পতির জীবনে দুর্ভাগ্য আসতে পারে।
আসলে ইন্দোনেশিয়ায় এই অঞ্চলের মানুষেরা বিশ্বাস করেন, বিয়ে হল একটি পবিত্র রীতি।ওই আঞ্চলিক মানুষদের মত, বিয়ের প্রথা চলাকালীন শৌচাগারের ব্যবহার বর ও কনেকে অপবিত্র করে দিতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে তাঁদের আগামী জীবনের সম্পর্কে। সদ্য বিবাহিতদের জীবনে প্রবেশ করতে পারে অশুভ শক্তি। এমনও বিশ্বাস রয়েছে, বিয়ের পরেই শৌচাগারে গেলে সম্পর্কে আসতে পারে কুনজরের ছায়া।
শুধু তাই নয়, বিয়ের এই ধরনের নিয়ম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দম্পতিকে খুব কম পরিমাণে খাবার ও জল দেওয়া হয়, যাতে তাঁরা নির্বিঘ্নে বিয়ের পরের সমস্ত আচার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পারে ও তাদের শৌচাগার ব্যবহার করার প্রয়োজন না পড়ে। সম্পূর্ণ নিয়ম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য রীতিমতো দম্পতির উপর কড়া নজরও রাখা হয়।
