আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের মরশুম কিংবা ধনতেরাস, অক্ষয় তৃতীয়ার মতো দিনে সোনা কেনার চল বেশি থাকে। বর্তমানে মধ্যবিত্ত পরিবারে সোনার গয়না কেনা মোটেই সহজ বিষয় নয়। কোনও ক্রমে সাধ্যের মধ্যে গয়না কেনার চেষ্টা করেন সকলে। তবে দাম বেশি হোক বা কম-সোনার গয়না কেনায় একেবারে ছেদ কি আর পড়ে! আর কষ্টের উপার্জনের টাকায় কেনা সোনা যেন বিফলে না যায়! অর্থাৎ সোনা খাঁটি কিনা তা যাচাই করে নেওয়া জরুরি। সেক্ষেত্রে কয়েকটি উপায় জানলেই বিশুদ্ধ সোনা চিনতে পারবেন।
১. সোনা খাঁটি কিনা তা চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হল হলমার্কিং। যার সাহায্যে সহজেই সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করা যায়। তাই সবসময় হলমার্ক করা সোনা কিনুন। সোনার গয়না কেনার সময়ে খেয়াল রাখুন তার উপর বিআইএস-এর মার্ক আছে কিনা। কারণ খাঁটি সোনার গয়নায় সব সময়ই বিআইএস-এর মার্ক থাকবে। বিআইএস-এর প্রতীকী চিহ্ন থাকলেই বুঝবেন আপনি খাঁটি সোনা কিনছেন।
 
 ২. চুম্বক ব্যবহার করে খুব সহজ উপায়েই খাঁটি সোনা চিনতে পারেন। সোনা কখনওই চুম্বককে আকর্ষণ করবে না। সোনা যদি কোনওভাবে চুম্বককে আকর্ষণ করে, তার মানে সেই সোনা হয়তো সম্পূর্ণ খাঁটি নয়। সেখানে অন্যান্য ধাতুর পরিমাণ বেশি।
 
 ৩. খাঁটি সোনার গয়না সব সময়ই জলে ডুবে যায়। সোনায় খাদ বেশি থাকলে তা জলে সম্পূর্ণ নাও ডুবতে পারে। জলে ভিজলে সোনার রং কখনও ফেক্যাসে হয়ে যাবে না। তাই গয়নার রং পরিবর্তন হচ্ছে কিনা তাও খেয়াল রাখা জরুরি।
 
 ৪. রান্নাঘরের কিছু সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে সোনার বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করা যায়। ভিনিগার দিয়ে পরীক্ষা করে পরখ করতে পারেন আপনার সোনা খাঁটি নাকি নকল। সোনার গয়নার উপর ড্রপার দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা করে হোয়াইট ভিনিগার ঢালুন। যদি সোনার রং পরিবর্তন হতে শুরু করে তাহলে বুঝবেন সেই সোনা নকল। আর যদি চকচক করে তাহলে আসল সোনা আপনার কাছে।
 
 ৫. সোনার পরিমাণ দেখেও তা খাঁটি কিনা বোঝা যায়।  যেমন ধরুন, আপনি যদি ১৪ ক্যারেটের সোনা কেনেন, তার মানে সেই সোনায় মাত্র ১৪ অংশ সোনা। বাকি অংশ অন্য ধাতু দিয়ে তৈরি। আগেকার দিনে অনেক সোনার গয়নায় খাদ বেশি থাকত। আর সেই কারণেই পুরনো গয়না দোকানে দিলে তা যাচাই করে দেখা যায়। খাদ বেশি থাকলে বা তা ২২ ক্যারেটের না হলে বর্তমান সোনার দাম অনুসারে সেই গয়নার সম্পূর্ণ দাম দেওয়া হয় না।
