আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিদিন জল পান করা সুস্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। জলের মাধ্যমেই বেশিরভাগ শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু অনেকেই সারা দিনের কাজের চাপে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেতে ভুলে যান। ফলে শীতকাল তো বটেই, গরমকালেও ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হয়। আর শরীরে জলের ঘাটতি হলে বিভিন্ন ধরনের রোগ হানা দিতে পারে। তাই ডিহাইড্রেশন হচ্ছে কিনা তা বোঝা অত্যন্ত জরুরি। সেক্ষেত্রে কয়েকটি লক্ষণ খেয়াল করলেই এবিষয়ে বুঝতে পারবেন।
১. ডিহাইড্রেশনের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে গাঢ় রঙের মূত্র, কম মূত্রত্যাগ। হলুদ প্রস্রাব হলে বুঝতে হবে শরীরে জলের অভাব রয়েছে। তাই স্রাবের রং লক্ষ করুন। এছাড়াও শরীরে জলের ঘাটতির কারণে প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বোধও হয়।
২. শরীরে জলের অভাব হলে গরমকালেও ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, ঠোঁট ফেটে যেতে পারে। আচমকা ত্বক রুক্ষ হতে শুরু করলে, ত্বকে ব্রণ ও চুলকানির সমস্যা দেখা দিলে তা শরীরে জলের ঘাটতির কারণে হতে পারে।
৩. কম জল খেলে সারাক্ষণ ক্লান্তিভাব, ঝিমুনি হতে পারে। অকারণে মাথা ঘোরা এবং মাথাব্যথাও হতে পারে।
৪. অনেকের শরীরে জলের অভাব হলে রক্তচাপ কমে যায়। চিকিৎসকদের পরামর্শ, যদি মনে হয় রক্তচাপ কমে গিয়েছে, ঘাম হচ্ছে, তাহলে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া উচিত। শরীরে জলের ঘাটতি হলে মুখে দুর্গন্ধও হয়।
৫. গুরুতর ডিহাইড্রেশন আরও বিপজ্জনক হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে দ্রুত হৃদস্পন্দন, শ্বাসকষ্ট। জলের অভাবে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যায়। তাই সমস্ত অঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য হৃদদযন্ত্রের উপর বেশি চাপ পড়ে। ফলে হঠাৎ করে হৃদস্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যেতে পারে। এমনকী খুব মারাত্মক ডিহাইড্রেশন হলে অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন।
