আজকাল ওয়েবডেস্ক: কিছুকাল আগেও অ্যাভোকাডো সম্পর্কে মানুষের খুব একটা স্পষ্ট ধারণা ছিল না। কিন্তু এখন এই ফল সম্পর্কে সচেতনতা কিছুটা হলেও বেড়েছে। একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল, যা তার মসৃণ টেক্সচার এবং হালকা স্বাদ এর জন্য পরিচিত। মূলত মধ্য আমেরিকা এবং মেক্সিকোর স্থানীয় ফল হলেও বর্তমানে বিশ্বের অনেক উষ্ণ অঞ্চলেই এর চাষ হয়। ডিম্বাকৃতির এই ফলটির ত্বক সাধারণত সবুজ বা কালচে সবুজ রঙের হয়ে থাকে এবং এর ভেতরে একটি বড় বীজ থাকে। অ্যাভোকাডো ফ্যাট সমৃদ্ধ, তবে এটি মূলত স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। স্যালাড, স্যান্ডউইচ, ডিপ এবং স্মুদি তৈরিতে অ্যাভোকাডো বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কতটা স্বাস্থ্যকর এই ফল?
১. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: অ্যাভোকাডো মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভরপুর, যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
২. দৃষ্টিশক্তি ভাল করে: এতে লুটেইন এবং জিয়াজ্যান্থিন নামক দু’টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উপাদানগুলি বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৩. পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করে: অ্যাভোকাডো ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি (যেমন ফোলেট), ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো অনেক প্রয়োজনীয় ভিটামিনের এবং খনিজ পদার্থের একটি চমৎকার উৎস। এগুলি শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়ক।
৪. হজমক্ষমতা বাড়ায়: অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতেও সহায়ক।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: অ্যাভোকাডোতে ফ্যাট বেশি থাকে, তবে এর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং উচ্চ ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাট রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের প্রবণতা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হয়।
