আজকাল ওয়েব ডেস্ক: আসছে আলোর উৎসব দীপাবলি। তার আগে ধনতেরাস উৎসব। ভূত চতুর্দশীর ঠিক আগের দিন কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে পালন করা হয় ধনতেরাস। এই দিনে বেশ কিছু জিনিস কিনলে সারা বছর সৌভাগ্য বিরাজ করে বলে কথিত রয়েছে৷ বিশেষ করে সোনা-রুপোর দোকানে উপচে পড়ে ভিড়। তবে বর্তমানে সোনার দাম আকাশছোঁয়া। হলুদ ধাতুতে হাত দিলেই ছ্যাঁকা লাগছে আমজনতার। বদলে ধনতেরাসে কম খরচে কোন কোন জিনিস কিনলে সদয় হবে অর্থভাগ্য, জেনে নিন ঝটপট।
ঝাড়ু- অনেকেই বিশ্বাস করেন ধনতেরাসের দিন ঘরে ঝাড়ু আনা উচিত। কথিত রয়েছে, ধনতেরাসের দিন বাড়িতে ঝাঁটা কিনে আনলে সংসারের সুখ সমৃদ্ধি দ্বিগুণ হয়। অলক্ষ্মী বিদায় হয়ে ঘরে আসে লক্ষ্মী। আসলে ঝাঁটাকে পরিচ্ছন্নতার প্রতীক বলে ধরা হয়। আর যেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আছে, সেখানেই দেবী লক্ষ্মীর স্থান, তাই ধনতেরাসে ঝাড়ু কেনা শুভ বলে মনে করা হয়।
পিতলের পাত্র- পিতল মা লক্ষীর প্রিয় ধাতু। এছাড়াও পিতলের ব্যবহার নানা ভাবে উপকারী।তাই ধনতেরাসের দিন পিতলের পাত্র কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিন অন্যান্য ধাতুর বাসনও কিনতে পারেন।
মাটি ও ধাতব মূর্তি- পাঁচটি উপাদানের প্রতীক হল মাটির মূর্তি। তাই মাটির মূর্তি দিয়ে পূজা করলে ঘরে ধন, সমৃদ্ধি এবং সুখ আসে বলে বিশ্বাস করা হয়। মাটির মূর্তি ছাড়াও ধনতেরাসে ঘরে আট ধাতু এবং সোনা-রূপার তৈরি প্রতিমাও আনতে পারেন।
পান- মা লক্ষ্মী পান পছন্দ করেন। তাই ৫টি পান কিনে দেবীকে নিবেদন করা শুভ বলে গণ্য হয়। এতে সারা বছর অর্থভাগ্য থাকে তুঙ্গে, বাড়ে সুখ সমৃদ্ধি।
গোটা ধনে- সারা বছর দেবী লক্ষ্মী এবং ধনকুবেরের আশীর্বাদ পেতে, ধনতেরাসে উভয়কে ধনে নিবেদন করতে পারেন। এতে সারা বছর অর্থের অভাব হবে না। দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সর্বদা বর্ষিত হবে।
কড়ি- প্রাচীনকাল থেকে কড়িকে অর্থ হিসাবে বিবেচনা করে ব্যবসা বাণিজ্য করা হত। আসলে কড়ি হল সম্পদের প্রতীক। তাই ধনতেরাসে দেবী লক্ষ্মীকে কড়ি নিবেদন করলে সুফল পাওয়া যায়।
