আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্যস্ত জীবনে শরীর সুস্থ রাখার জন্য কত কিছুই না করি আমরা। কেউ মেতে ওঠেন ব্যায়ামে, কেউ বা নিরামিষ খাওয়া শুরু করেন। কিন্তু জানেন কি, হাতের কাছেই রয়েছে এমন সব অতিপরিচিত ফল যা নিয়ম করে খেলে একেবারে টনিকের মতো কাজ করে? তেমনই একটি ফল খেজুর। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আরব অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রিয় এই ফলে রয়েছে ফাইবার, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট—যা শরীরের বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগে।

১. হজমের সমস্যা সমাধানে
অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, স্ট্রেস আর তেলঝাল খাবারে হজমে সমস্যা হওয়া আজকাল খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু প্রতিদিন সকালে কয়েকটি খেজুর খেলে শরীর পায় প্রাকৃতিক ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষত যাঁরা বারবার অম্বল বা গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর।

২. রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়
আয়রনের ঘাটতি মানেই দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, অবসাদ। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। খেজুরে থাকা প্রাকৃতিক আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই যাঁরা রোজকার জীবনে ক্লান্তি বোধ করেন, তাঁদের জন্য রোজ সকালে খেজুর হতে পারে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানোর আদর্শ পদ্ধতি।

৩. হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়
হার্ট ভাল তো সব ভাল। খেজুরে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা হার্টের জন্য খুবই উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত খেজুর খেলে হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোকের মতো মারাত্মক অসুখের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

৪. চটজলদি এনার্জি
অফিসের কাজ, বাড়ির দায়িত্ব সামলে অনেক সময় শরীর একেবারে হাল ছেড়ে দেয়। তখন একটি খেজুর খেলে চটজলদি শক্তি মেলে। এতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা (গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ) শরীরে এনার্জির ঘাটতি নিমেষে পূরণ করে।

সবমিলিয়ে খেজুর অতি পরিচিত বলে অনেকে অবহেলা করেন, অথচ তার গুণ অগাধ। তবে যাঁরা ডায়াবেটিক, তাঁদের খেজুর খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।