আজকাল ওয়েবডেস্ক: শীতকাল মানেই বাঙালির গুড়ের পিঠে-পুলি খাওয়ার মরশুম। সঙ্গে টাটকা গুড়ের রসগোল্লা, পায়েস। বহুকাল যাবৎ বাঙালির হেঁশেলে শীত আসতেই হাজির হয় নলেন গুড়, পাটালি গুড়। যদিও আজকাল সারা বছরই খোঁজ করলে সব জিনিস পাওয়া যায়। তবে কমলালেবু, ফুলকপি-বাধাকপির মতো শীতকালে গুড়ের জন্যও খাদ্যরসিকরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন। শুধু স্বাদে নয়, গুড়ের অনেক স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে। জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়ে- 

গুড়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ফোলেট রয়েছে যা শরীরে হিমোগ্লোবিনের চাহিদা মেটায়। ফলে গুড় খেলে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দেয় না। 
গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম এবং পটাশিয়াম রয়েছে। এই খনিজগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিভিন্ন সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে। তাই শীতকালে গুড় খেলে অনেক অসুখ থেকে দূরে থাকা যায়।

খাবার ভালভাবে হজম করতে সাহায্য করে গুড়। ফলে গুড় খেলে বদহজম, অ্যাসিডিটির, গ্যাসের সমস্যা কমে। দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও। চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসাবে চা-কফি কিংবা অন্যান্য খাবারে গুড় ব্যবহার করতে পারেন।

শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে সাহায্য করে গুড়। ফুসফুসকে স্বাস্থ্যকর, চাঙ্গা রাখতেও গুড় কার্যকরী। বুকে কফ জমে যাওয়া, হাঁপানির সমস্যাতেও গুড় খেলে উপকার মিলবে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গুড় খেলে বিশেষ ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। ডিমেনশিয়া সহ বয়সের ভারে যে সমস্ত রোগ হতে পারে গুড় খেলে তার সম্ভাবনাও কমে।

আমাদের শরীরে জলের পরিমাণ সঠিক মাত্রায় বজায় রাখতে পারে গুড়। অর্থাৎ গুড় খেলে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা কমে। তাই শীতের রুক্ষ-শুষ্ক মরশুমে ত্বকেও আর্দ্রতা বজায় রাখতে গুড় খেলে পারেন।  

শীতকালে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা-যন্ত্রণা দূর করতে সাহায্য করে গুড়। শরীর উষ্ণ রেখে শীতকালের বিভিন্ন রোগভোগ থেকে বাঁচায় এই খাবার।