আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘুম থেকে উঠে কফির গন্ধ না পেলে যেন দিনটাই বৃথা! অনেকেই এমনটা মনে করেন। কেউ দুধ ছাড়া ব্ল্যাক কফি খেতে ভালবাসেন, আবার কারওর পছন্দ দুধ কফি। শুধু মন ভাল করাই নয়, কফির স্বাস্থ্যগুণও প্রচুর। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পানীয় নিয়মিত খেলে হার্টের অসুখ, টাইপ ২ ডায়াবিটিস, গল স্টোন এবং পার্কিনসনসের মতো জটিল অসুখ প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া কফি মেজাজ চাঙ্গা করার কাজে একাই একশো। কিন্তু সকালে খালি পেটে ব্ল্যাক না দুধ কফি, কোনটি খাওয়া উচিত? 

চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফির ক্যালোরির পরিমাণ কম হয়। এছাড়াও বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী। ব্ল্যাক কফি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযোগী ব্ল্যাক কফি গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তবে অতিরিক্ত ক্যাফেইন থেকে অনিদ্রা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ব্ল্যাক কফি খেলেও তা পরিমিত পরিমাণে পান করা উচিত। 

অন্যদিকে, দুধ কফিতে দুধ থাকার ফলে এতে ক্যালোরি ও ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। যা ওজন বাড়ার কারণ হতে পারে। তবে দুধে উপস্থিত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের দুধ কফি খেলে হজমের সমস্যা বাড়তে পারে। 

ব্ল্যাক বা দুধ কফি যাই খান না কেন, এতে চায়ের তুলনায় অনেকটাই বেশি ক্যাফিন রয়েছে। তাই কফি খেলে যেমন দ্রুত এনার্জি আসে, তেমনই কোষ্ঠকাঠিন্য, থাইরয়েড সহ একাধিক শারীরিক সমস্যায় কফি কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সকালে খালি পেটে কফি খেলে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। পাকস্থলীতে প্রচুর পরিমাণে এই অ্যাসিড জমলে হজমজনিত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। পুষ্টিবিদদের মতে, চা-কফির মধ্যে যাই খান না কেন, তা দুধ-চিনি ছাড়াও খাওয়াই ভাল। বিশেষ করে সকালে দুধ চিনি দেওয়া চা-কফি খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসকেরা। বদলে লিকার চা কিংবা ব্ল্যাক কফিতে চুমুক দিতে পারেন।