আজকাল ওয়েবডেস্ক: জ্যোতিষবিজ্ঞানের এক অদ্ভুত শাখা সংখ্যাতত্ত্ব। সেই তত্ত্ব অনুযায়ী অঙ্কের বুনোটে বাঁধা আমাদের জীবন। জন্ম থেকে মৃত্যু, জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যেন কোনও না কোনও সংখ্যার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। 

বৃহস্পতিবার গুজরাটের মেঘানিনগরে বিমান দুর্ঘটনায় অহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রিবাহী বিমান। দুর্ঘটনার পরেই জানা গিয়েছিল, ওই বিমানে ছিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রূপানি। আশঙ্কা ছিল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন রূপানি। কয়েক ঘণ্টা পর সেই আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হয়। জানা যায়, বিজয় রূপানি প্রয়াত।

গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীর জীবনেও ১২০৬ সংখ্যাটি এক রহস্যময় ছায়াসঙ্গীর মতো বারবার ফিরে এসেছে। তাঁর জীবনের ছোট-বড় বাঁকে এই সংখ্যাটির উপস্থিতি এতটাই যে, তাকে নিছক কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দেওয়া কঠিন।
বিজয় রূপাণীর মনে করতেন ১২০৬ সংখ্যাটি তাঁর জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক।

 * তাঁর ব্যক্তিগত প্রায় সমস্ত গাড়ির নম্বর প্লেটেই থাকত ১২০৬।
 * জীবনের প্রথম যে গাড়িটি তিনি কিনেছিলেন, তার নম্বরও ছিল ১২০৬।
 * তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরের শেষ চারটি সংখ্যাও ছিল ১২০৬।
 * বছরের পর বছর ধরে তিনি যখনই নতুন কোনও গাড়ি কিনেছেন, চেষ্টা করেছেন যাতে তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১২০৬ হয়।
অনেকেই মনে করতে পারেন, এই সংখ্যাটি তাঁর জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক ছিল অথবা এটি তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দের একটি সংখ্যা মাত্র।
কিন্তু সংখ্যাটি কি সত্যিই তাঁর জন্য সৌভাগ্যের ছিল? কারণ যে তারিখে বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর প্রয়াণ হল সেই তারিখটি জুন মাসের ১২ তারিখ। অর্থাৎ ২০২৫ সালের ১২.০৬ তারিখেই নেমে এল অভিশাপ। সংখ্যাতাত্ত্বিকরা জানাচ্ছেন, কোনও সংখ্যা যেমন কারও সৌভাগ্যের প্রতীক হতে পারে তেমনই ক্ষেত্র বিশেষে ‘কর্মা’ বা কর্মফলের ভিত্তিতে সেই সংখ্যার মধ্যেই প্রবেশ করতে পারে নেগেটিভ এনার্জি। এর তাতেই হতে পারে বিপদ। সৌভাগ্য বদলে যেতে পারে দুর্ভাগ্যে। তবে বলা বাহুল্য এই কঠিন সময় এসব তাত্ত্বিক আলোচনার জন্য উপযুক্ত নয়। তাই এখনই এবিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করা অনুচিত বলেই মত তাঁদের।