আজকাল ওয়েবডেস্ক: কিছুদিন আগেই কয়েকটি সূত্রে শোনা গিয়েছিল, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নাকি পশ্চিমবঙ্গের ভোটার হতে চান না। কিন্তু সেই চিত্র বদলে গেল হঠাৎই। বৃহস্পতিবার জানা গেল, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস উত্তর কলকাতার অন্তর্গত ১৬২ চৌরঙ্গি বিধানসভার ভোটার হতে চেয়ে আট নম্বর ফর্ম পূরণ করেছেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে আপাতত চলছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)। ভোটারদের এনুমারেশন বিলি থেকে শুরু করে জমা নেওয়াও হয়েছে। ডিজিটাইজেশনের কাজও প্রায় সম্পূর্ণ। আগামী ১৬ ডিসেম্বর প্রাথমিক খসড়া তালিকা বেরনোর কথা।
এর আগে, বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নামে পশ্চিমবঙ্গে কোনও এনুমারেশন ফর্ম আসেনি। এটা ঘটনা, রাজ্যপাল এই রাজ্যের নাগরিক নন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নেওয়ার আগে থেকে তিনি কেরলের ভোটার। সেখানকার কোট্টায়াম জেলার ভোটার হয়েই থাকতে চান তিনি। এমনটাই নাকি শোনা গিয়েছিল বিভিন্ন সূত্র।
তবে এটাও ঘটনা, রাজ্যপাল হলেন রাজ্যের প্রথম নাগরিক। কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল পদে যিনি বসেন, তিনি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ভোটার হতেই পারেন। এক্ষেত্রে রাজভবনের (লোকভবনের) তরফে কমিশনকে আবেদন জানালেই হল। কমিশন এক্ষেত্রে কোনও তথ্য যাচাই করে না। আবেদন পেলেই রাজ্যপালের নাম সেই রাজ্যের ভোটার তালিকায় যুক্ত করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এই রাজ্যের নাগরিক হয়েছিলেন। তিনি ভোটও দিয়েছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন সূত্রে খবর ছিল, তিনি নাকি এই রাজ্যের ভোটার হতে চান না। সে কারণে তাঁর নামে কোনও এনুমারেশন ফর্মও আসেনি। পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় নাম থাকলে তবেই তিনি এই রাজ্যে এনুমারেশন ফর্ম পেতেন।
কিন্তু বৃহস্পতিবার আচমকাই চিত্রনাট্যে বদল। পশ্চিমবঙ্গের ভোটার হতে চেয়ে তিনি আট নম্বর ফর্ম পূরণ করেছেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হতেই বিভিন্ন জেলা থেকে মৃত্যুর খবর এসেছে। নাম বাদ যাওয়ার আতঙ্কে অনেকেই আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই বিষয়ে প্রথম থেকেই সোচ্চার। তিনি জনসভাও করেছেন। এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তুলোধনাও করেছেন।
যদিও এসআইআর প্রক্রিয়া অবশ্য থেমে থাকেনি। এখন চলছে একেবারে শেষ মুহূর্তের কাজ। আর ক’দিন পরেই প্রাথমিক খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা।
