আজকাল ওয়েবডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে চিকিৎসকরা। এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সরকারের পক্ষ থেকে দু' বার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার ডাক এলেও, শর্ত-দাবির কথা বলে সেই ডাকে সাড়া দেননি আন্দোলনকারীরা। ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক, বলছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব 

 

আরও পড়ুন: কোনও শর্ত রেখে আলোচনা হয় না, চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে সাফ বার্তা মুখ্য সচিবের

 

 রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও এদিন বলেন, খোলা মনে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছিল। তাঁর মতে, সাধারণ, গরীব মানুষ যাতে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন, সেই কারণেই বারবার অনুরোধ। চন্দ্রিমার কথাতেও উঠে আসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ প্রসঙ্গ। বলেন, আশা ছিল, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নেবেন আন্দোলনকারীরা। পরপর ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরেন তিনি।

 

রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর যেমন ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরলেন গত দু' দিনের, একই সঙ্গে বেশকিছু বিষয়ে প্রশ্ন তুললেন। প্রশ্ন করলেন, ভোর তিনটা ৪৫মিনিট কি সিএমও দপ্তরে ইমেল করার সময়? প্রশ্ন করলেন, এই আন্দোলনের পিছনে কি রয়ে গেছে রাজনীতি? 

 

এদিন রাজ্যের স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, 'প্রশ্ন করতে চাই কোনও সিএমওতে কোনও ইমেল ৩টে ৪৫-এ এই ব্যাপার নিয়ে আসা খুব স্বাভাবিক?' তারপরেই প্রশ্ন, 'তাহলে কি এর পিছনেে কোনও রাজনীতি লুকিয়ে আছে?' বলেন, 'আসলে রাজনীতি লুকিয়ে আছে বলেই, এই ঘটনপ্রবাহ দেখছি।' শর্ত নিয়েও এদিন বক্তব্য রাখেন চন্দ্রিমা, বলেন, 'রাজ্য সরকার শর্ত দিয়ে নয়, খোলা মনে বসতে চাইছেন। শর্ত দিয়ে খোলা মনে বসা যায় না।'এ

 

চন্দ্রিমার সাফ বক্তব্য, 'সেই মেয়েটি বিচার পাক, যিনি নির্যাতিতা, ব্যাপারটা তা নয়, পিছনে কোনও রাজনীতির খেলা আছে। তাই এতটা সময় লাগছে চিন্তা ভাবনা। লক্ষ্য, খোলা মনে আলোচনা নয়, তাই শর্ত আরোপ।' সুপ্রিম নির্দেশও মনে করারলেন তিনি। 

 

যদিও, আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁদের আন্দোলনে রাজনীতি নেই। শর্ত মানা হলেই বসবেন আলোচনায়। 

 

এদিন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেন, কর্মস্থল নিরাপদ করতে বদ্ধপরিকর পুলিশ। কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের দ্রুত কাজে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। তাঁর বক্তব্য, আন্দোলনকারীরা কাজে ফিরে এলেই। দেখতে পাবেন পরিবর্তন।