আজকাল ওয়েবডেস্ক: রজত পতিদারের সঙ্গে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর শুরুটা তেমন ভাল ছিল না। ২০২১ সালে চার ম্যাচের পরই মধ্যপ্রদেশের ব্যাটারকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চার বছর পর একসময়ের সেই 'ব্রাত্য' ক্রিকেটারই আরসিবির অধিনায়ক। বেঙ্গালুরুর ট্রফির  খরা কাটানোর দায়িত্ব এবার এই তরুণ নেতার কাঁধে। একেবারে স্বপ্নের যাত্রা। ২০২১ সালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার পর ২০২২ আইপিএলে পরিবর্ত ক্রিকেটার হিসেবে ফেরেন রজত। ৩৩৩ রান করেন। তারমধ্যে রয়েছে এলিমিনেটরে করা শতরান। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর থেকে শুধুই এগিয়ে গিয়েছেন পতিদার। নিজেকে ক্রিকেটার হিসেবে পরিণত করেছেন। 

এবার তরুণ তারকাকে অধিনায়ক করা নিয়ে অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছিলেন। ফ্র্যাঞ্চাইজির পছন্দ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। কিন্তু নেতৃত্বের বোঝা তাঁকে দমাতে পারেনি। যাবতীয় সমালোচনা বন্ধ করে এগিয়ে চলেছেন পতিদার। তাঁর নেতৃত্বে আইপিএলের শুরুটা সবচেয়ে ভাল হয়েছে বেঙ্গালুরুর। শুধু তাই নয়, ব্যাট হাতেও সমান সফল। মাঝের ওভারে দলের মোমেন্টাম ধরে রাখা তাঁর হাতে। ফিল সল্ট, বিরাট কোহলি এবং দেবদত্ত পাড়িক্কাল ঝড়ের গতিতে শুরু করছে। সেই ছন্দ মাঝের ওভারে ধরে রাখছেন আরসিবির অধিনায়ক। ফ্র্যাঞ্চাইজির ম্যানেজমেন্ট তাঁর ওপর আস্থা রাখেন। বিরাট কোহলি ছাড়া তিনিই একমাত্র ব্যাটার যাকে ধরে রাখা হয়েছে। গুজরাট টাইটান্স ছাড়া বাকি সব ম্যাচই রান পেয়েছেন। কেকেআর, সিএসকে এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে সাফল্য পান। তাঁর ৩২ বলে ৬৪ রানে ভর করে মুম্বইকে হারায় বেঙ্গালুরু। স্পিনারদের ট্যাকেল করার জন্য চারে নামছেন বেঙ্গালুরুর নেতা। কিন্তু পেসের বিরুদ্ধেও সমান পারদর্শী। হার্দিক পাণ্ডিয়ার বিরুদ্ধে ১২ বলে ৩৩ রান করেন। শুরুতে তাঁকে অধিনায়ক করা নিয়ে সবাই অবাক হলেও, ঘরোয়া ক্রিকেটের খবরাখবর যারা রাখেন, তাঁরা আশ্চর্য হবে না। বিরাট কোহলি, ফাফ ডু'প্লেসির জায়গা নিতে পারবেন কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সবাইকে ভুল প্রমাণ করেন তিনি। নতুন অধিনায়কের হাত ধরে এবার লাইন পার করার স্বপ্ন দেখছে আরসিবি।