আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইপিএলে প্রথমে দল পাননি। মহসিন খান চোট পাওয়ায় তাঁকে নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। কোটিপতি লিগের শুরুতেই কামাল। প্রথম ম্যাচে নজর কেড়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে লড়াইয়ে ফেরান। ৪ ওভার বল করে ৩৪ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন শার্দূল ঠাকুর। তাঁর শিকার অভিষেক শর্মা, ঈশান কিষাণ, অভিনব মনোহর এবং মহম্মদ সামি। তারমধ্যে হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল। পরপর দুই বলে আউট করেন অভিষেক এবং ঈশানকে। কোনওক্রমে হ্যাটট্রিক রোখেন নীতিশ কুমার রেড্ডি। বরাবরই পার্টনারশিপ ভাঙার সুনাম রয়েছে শার্দূলের। ভারতীয় দল হোক বা চেন্নাই সুপার কিংস। এদিনও ব্যতিক্রম নয়। ম্যাচের আগে প্রশ্ন ছিল লখনউয়ের বিরুদ্ধে কি ৩০০ রান করবে সানরাইজার্স? দিল্লির বিরুদ্ধে জঘন্য বোলিংয়ের পর এমন সম্ভাবনা দেখছিলেন অনেকেই। কিন্তু দারুণ প্রত্যাবর্তন লখনউয়ের বোলারদের। ২০০ রানের নীচে আটকে যায় হায়দরাবাদ। 

লখনউয়ের বোলারদের মধ্যে এদিন স্টার শার্দূল। তৃতীয় ওভারে ব্যাক টু ব্যাক বলে অভিষেক শর্মা এবং ঈশান কিষাণকে ফিরিয়ে দেন। তারপরই ইন্টারনেট ছয়লাপ হয়ে যায় মিমে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে যায় 'লর্ড শার্দূল ঠাকুর' এর মিম। অনেকেই লেখেন, 'লর্ড শার্দূলের প্রত্যাবর্তন ঘটেছে।' ভারতীয় অলরাউন্ডারকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেওয়া হয়। এবার ভারতীয় পেসারদের ওপর ভরসা রেখেছে এলএসজি। ছিলেন আকাশ দীপ, আবেশ খান, মায়াঙ্ক যাদব, মহসিন খানরা। তারমধ্যে চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন শেষজন। তাঁর জায়গাতেই সুযোগ পান শার্দূল। আকাশ দীপ এবং মায়াঙ্ক এখনও ফিট হয়নি। সবে বোর্ডের ক্লিয়ারেন্স পেয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেন আবেশ। এদিন হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে খেললেও সাফল্য পাননি। এই অবস্থায় মূলত শার্দূলের ওপর লখনউয়ের বোলিং নির্ভর করছিল। রঞ্জির সাফল্যের পর আবার নিজেকে প্রমাণ করলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার।