আজকাল ওয়েবডেস্ক: চিরদিন কারও সমান যায় না। সংসার মানেই শুধু প্রেমালাপ নয়। রয়েছে হাজার ঝক্কি। কোনও দম্পতি কাজ ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে ঝামেলা করেন। কখনও দাম্পত্যে আবার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে ঘিরে অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। 

স্বামী কি রোজ মিথ্যে কথা বলেন? বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত নন তো? কোনও মেয়ের সঙ্গে কি লুকিয়ে কথা বলেন, দেখা করেন? তীব্র সন্দেহ হয় স্ত্রী। আর এই সন্দেহের বশেই রোজ 'অগ্নিপরীক্ষা'র সম্মুখীন হতে হয় স্ত্রীকে। রোজ বাড়ি ফিরেই স্ত্রীর প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে, সত্যি কথা বলতে হয় তাঁকে। 

জানা গেছে, সন্দেহের বশে স্বামীকে লাই ডিটেক্টর টেস্ট দিতে বাধ্য করেন তাঁর স্ত্রী। হাসিমুখেই সেই পরীক্ষা দেন যুবক। কখনও মেজাজ হারান না। নিত্যদিন স্ত্রীর সন্দেহের কারণে জীবন ঝালাপালা হয়ে গেলেও, ডিভোর্সের কথা ভাবেন না। এতকিছুর পরেই দাম্পত্যে প্রেম অটুট। এমনকী সংসারেও সুখশান্তি রয়েছে। কীভাবে? কেন যুবক স্ত্রীর প্রতি বিরক্ত হন না, তার কারণ রয়েছে। 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ডেবি উড ও স্টিভ সমস্ত অশান্তি, ঝামেলা, ঈর্ষা, সন্দেহ পার করেও হাসিমুখেই সংসার করছেন। 'বিশ্বের সবচেয়ে ঈর্ষাকাতর স্ত্রী' হিসেবে আগেই খবরের শিরোনামে এসেছিলেন ডেবি। সন্দেহের বশে স্বামীর প্রতি তাঁর আচরণ ঘিরে তোলপাড় পড়েছে বিশ্বজুড়ে। সেই সন্দেহের বশে তিনি যা যা করেন, এবার তা ঘিরেও জোর চর্চা শুরু হয়েছে। 

আরও পড়ুন: কে ছিল ঠাকুমার গয়না চোর? ছেঁড়া দলিলের টুকরোতেই ছিল ইঙ্গিত, হার মানবে গোয়েন্দা কাহিনি

জানা গেছে, রোজ স্টিভকে লাইক ডিটেক্টর টেস্ট দিতে বাধ্য করেন ডেবি। কাজের পর বাড়ি ফিরেই সৎ হয়ে স্ত্রীকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় স্টিভকে। এই পথ তিনিই প্রথম দেখিয়েছিলেন। এর আগে স্ত্রীর সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেও, তিনি সন্তুষ্ট হতেন না। বধ্যমূল ধারণা নিয়েই রাগ করে বসে থাকতেন ডেবি। সব উত্তর পাওয়ার পরেও তাঁর মনে হত, স্টিভ এখনও মিথ্যে কথা বলছেন। এরপর স্টিভ প্রস্তাব দেন, বিশ্বাস না হলে লাইক ডিটেক্টর টেস্ট করাতেও পিছপা হবেন না তিনি। সেই কথা মতো বাড়িতেই লাইক ডিটেক্টর কিট নিয়ে আসেন ডেবি। সেই থেকে শুরু হয় নিত্যদিনের 'অগ্নিপরীক্ষা'। 

কিন্তু কেন স্টিভের প্রতি এত সন্দেহ ডেবির? বারবার লাইক ডিটেক্টর টেস্টে পাশ করার পরেও ডেবির সন্দেহ কমে না। কারণটি ডেবি নিজেই জানিয়েছেন। তিনি জানান, অতীতে এক প্রেমের সম্পর্কে তিনি প্রতারিত হয়েছিলেন। বারবার প্রতারণার শিকার হয়ে ট্রমা রয়েছে তাঁর। যা থেকে এখনও পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি। তাঁর ধারণা ছিল, স্টিভ ও হয়তো মিথ্যে কথা বলতে পারে তাঁকে। 

ডেবি জানিয়েছেন, সম্পর্কের শুরুতে তিনি ও স্টিভ ভিন শহরে আলাদা আলাদা থাকতেন। ডেবির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কিছুদিন আগে তিনি আরও একটি তরুণীকে ডেট করছিলেন। এরপরই ডেবির ধারণা হয়, স্টিভ তাঁকে যেকোনও সময় ঠকাতে পারেন। তাই তাঁর ব্যাঙ্কের খুঁটিনাটি, ফোন রেকর্ড, সবকিছুই খতিয়ে দেখতে শুরু করেন। এদিকে স্টিভ অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, শান্ত স্বভাবের ছেলে। ডেবির আচরণে সচরাচর বিরক্ত হন না। 

২০১৪ সাল থেকে সম্পর্কে নতুন মোড় নেয়। তখন থেকেই আর নিয়মিত লাইক ডিটেক্টর টেস্ট করাতে বাধ্য করেন না স্টিভকে। বরং নিজের ঈর্ষাকাতর মনকে ঠিক করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ঈর্ষা ও সন্দেহের কারণে সম্পর্কটি ভেঙে যেতেই শুরু করেছিল। কিন্তু শেষমেশ ডেবি নিজের আচরণ বদলে ফেলেন।