আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে যদি অন্যকে শেষ করে দিতে হয় তাহলে সেটাই করতে হবে। পৃথিবীর আদি কাল ধরে এই নিয়ম চলে আসছে। আর এবার সেটাই করে দেখাল ব্যাকটেরিয়া। গবেষকরা এদের এই কাজ দেখে একেবারে হতবাক। কীভাবে এরা এই কাজ করছে।
 
 কিছু ব্যাকটেরিয়া রয়েছে তাদের কাছে সর্বদাই প্ল্যান বি থাকে। যখন কোনও দেহের পুষ্টি শেষ হয়ে যায় তখন তারা পাশের অন্য একটি ব্যাকটেরিকে মেরে ফেলে এবং তাকে খেয়ে নেয়। এভাবেই তারা বছরের পর বছর ধরে বেঁচে থাকছে। 
 
 অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণা থেকে উঠে এসেছে এই তথ্য। সেখান থেকে জানা গিয়েছে। এই নিয়ম একমসয় পৃথিবীর প্রাচীন প্রাণীরা ব্যবহার করত। তারা যদি সঠিক খাদ্য না পেত তাহলে তারা পাশের প্রতিবেশীকে খেয়ে নিয়ে বাঁচত। সেই একই নীতি নিয়েছে এই ব্যাকটেরিয়াগুলি। 
 
 গবেষণা থেকে উঠে এসেছে এই ধরণের ব্যাকটেরিয়ার কাছে অন্যদের হত্যা করার একটি অস্ত্র রয়েছে। সেটিকে নিজেদের প্রয়োজনে তারা ব্যবহার করছে। যখনই তাদের কোনও প্রয়োজন হয় তখনই তারা সামনের ব্যাকটেরিয়াকে নষ্ট করে নিয়ে তাকে খেয়ে ফেলে। ব্যাকটেরিয়ার এই অস্ত্রকে একটি হারপুনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এটি কাছে গিয়ে সরাসরি এরা নিক্ষেপ করে। ফলে পাশের ব্যাকটেরিয়া অতি সহজেই মারা যায়।
 
 তবে এই কাজটি তারা তখন পর্যন্ত করে না যতক্ষণ না তাদের দেহের খাবার শেষ হবে। তারপরই তারা নিজেদের এই অস্ত্র ব্যবহার করবে। এই খুনি ব্যাকটেরিয়া তাই এবার সকলকে ভয় ধরিয়েছে।
 
 গবেষকরা মনে করছে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য অধিক বড় সাইজ হওয়ার দরকার হয় না। সঠিক বুদ্ধি খাটিয়ে যদি নিজের শক্তিকে কাজে লাগানো যায় তাহলে অতি সহজেই অন্যকে কাবু করে বেঁচে থাকা যায়। সেই কাজই এই ব্যাকটেরিয়া করে চলেছে। এদের খিদে এতটাই বেশি যে এরা অতি দ্রুত পাশের ব্যাকটেরিয়াকে খেয়ে সাফ করে দেয়। সেখানে বেশি সময় নেয় না। 
