আজকাল ওয়েবডেস্ক: গলা ব্যথার কারণে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জীবনের এক অপ্রত্যাশিত খবর পেলেন কেটলিন ইয়েটস নামে এক মহিলা। ১লা এপ্রিল, এপ্রিল ফুলস ডে-তে এই চমকপ্রদ সংবাদ শুনে প্রথমে মনে হয়েছিল কেউ মজা করছে। কিন্তু সেটা আদৌ মজা ছিল না, পুরোটাই ছিল বাস্তব। ২০ বছর বয়সী কেটলিন ইয়েটস পেশায় একজন নার্সিং অ্যাসিস্ট্যান্ট। গলা ব্যথার কারণে তিনি চিকিৎসকের কাছে যান। কী কারণে গলা ফুলছে তা পরীক্ষা করতে চিকিৎসকরা গলার সমস্যার কারণ খুঁজতে এক্স-রে করার সিদ্ধান্ত নেন।

 

 

 

কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, এক্স-রে করার আগে মহিলাদের প্রেগনেন্সি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। কারণ, এক্স-রে শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। সেই পরীক্ষা করতেই দেখা গেল ওই মহিলা গর্ভবতী। আরও অবাক করা বিষয় হল, তার হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রোপিন হরমোনের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যেখান থেকে জানা গেল তিনি চারটি শিশুর মা হতে চলেছেন। এই হরমোন সাধারণত গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা থেকে নিঃসৃত হয়। খুশির খবর হলেও সেই সময় শারীরিক জটিলতার মধ্যে ছিলেন ইয়েটস। ৭ মাস পর ১৭ই অক্টোবর স্প্রিংফিল্ড, ইলিনয়ের সেন্ট জন’স হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে চার শিশুর জন্ম হয়। 

 

 

তাদের নাম রাখা হয় এলিজাবেথ টেলর, ম্যাক্স অ্যাশটন, এলিয়ট রাইকার এবং জয়া গ্রেস। এর মধ্যে ম্যাক্স এবং এলিয়ট একে অপরের আইডেন্টিক্যাল টুইন। ইয়েটস জানান, এলিজাবেথ সবচেয়ে ছোট, যার ওজন মাত্র ১ পাউন্ড ২ আউন্স। অন্যদিকে, ম্যাক্স সবচেয়ে বড়, যার ওজন ২ পাউন্ড ৬ আউন্স। গলা ব্যথার ডাক্তার দেখাতে গিয়ে এই ঘটনা এবং কেটলিন ইয়েটসের সাহসিকতার গল্প ছড়িয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা কার্যত আলোড়ন তুলেছে নেটিজেনদের মধ্যে।