আজকাল ওয়েবডেস্ক: আমেরিকা তিনটি ইরানি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। যা মধ্যপ্রাচ্যের সংকটকে আরও তীব্র করে তুলেছে। রবিবার মার্কিন হামলার পর পরই রবিবার মার্কিন বেশ কয়েকটি শহরে বিশাল যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। 'ইরান থেকে বিরত থাকুন' এবং "ইরানের উপর মার্কিন-ইজরায়েল যুদ্ধ নয়" স্লোগান লেখা ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিক্ষোভকারীরা।  

সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ- ছড়িয়ে পড়া ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা ব্যানার ধরে যুদ্ধবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে ইজরায়েলকে সমর্থন বন্ধ করার দাবি তুলছেন। পাসাপাশি, প্রতিবাদীরা ইরানের সঙ্গে ইহুদি জাতির সংঘাতে আমেরিকাকে জড়িয়ে না পরার আহ্বান জানাচ্ছেন।

?ref_src=twsrc%5Etfw">June 18, 2025

 

'অপারেশন মিডনাইট হ্যামার'-এর অংশ হিসেবে, মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরানের ফোরডো, ইসফাহান এবং নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালায়।

বোস্টন, শিকাগো, ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসের বাইরে এবং নিউ ইয়র্ক সিটির আইকনিক টাইমস স্কয়ারে বিক্ষোভ ট্রাম্পের নীতির প্রতিবাদ হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পিছু হটতে বলার পাশাপাশি, বিক্ষোভকারীরা ইরানের সঙ্গে সংঘাত শুরু করার জন্য ইজরায়েলকে দুষেছেন। পাশাপাশি প্রতিবাদীরা গাজা সামরিক অভিযানের জন্যও আহ্বান জানিয়েছে।

?ref_src=twsrc%5Etfw">June 22, 2025

 

ইরানে বিমান হামলার পর নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটন-সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শহরগুলিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হলে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট বা বিশ্বাসযোগ্য হুমকি না থাকলেও- সাংস্কৃতিক, কূটনৈতিক এবং ধর্মীয় স্থানগুলির চারপাশে অতিরিক্ত টহল এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি) টুইটে জানিয়েছিল "ইরানে উদ্ভূত পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং সতর্কতার কারণে শহর জুড়ে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে।" একই ধরণের পরামর্শে, ওয়াশিংটন ডিসির মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ (এমপিডি) স্থানীয়, রাজ্য এবং ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি এবং বাসিন্দা, দর্শনার্থী এবং ব্যবসার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সমন্বয় বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছে।

এদিকে, সোমবার ভোরে ট্রাম্প তাঁর সমাজমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, 'ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণুকেন্দ্রগুলিতে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপগ্রহচিত্রেও তা স্পষ্ট। মাটির গভীরে গিয়ে লক্ষ্যভেদ করেছে মার্কিন বাহিনী! এর আগে এই নজির আর কারও নেই।' ।

দমবার পাত্র নয় ইরানও। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেইনি মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং তেহরানের কঠোর ও সিদ্ধান্তমূলক প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন। ইজরায়েলের 'বন্ধু' আমেরিকাকে "ইহুদিবাদী শত্রু" বলে অভিহিত করে তিনি বলেন যে, "বড় ভুল করেছে, বড় অপরাধ করেছে, তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।"