আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুদানের উত্তর দারফুরের এল ফাশের শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত জামজাম শিবিরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (RSF)। ১১ এপ্রিল রাতে কয়েক ঘণ্টার গোলাবর্ষণের পর শিবিরে ঢুকে পড়ে RSF বাহিনী, যেখানে প্রায় ৭.৫ লাখ অভ্যন্তরীণ বাস্তুহারা মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।

এই হামলায় অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ২০ জনের বেশি শিশু। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শতাধিক ত্রিপল ও খড়ের তৈরি ঘর, মহিলাদের পরিচালিত কমিউনিটি কিচেনে আগুন দিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে অনেক মহিলাকে। ধ্বংস করা হয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও চিকিৎসাসেবা পরিকাঠামো, নিহত হয়েছেন ৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী।

রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, “এই হামলা ছিল স্বাস্থ্যসেবা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে পরিচালিত।” উপগ্রহচিত্র বিশ্লেষণে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রতিবেদনে একে জামজামের উপর সবচেয়ে বড় হামলা বলা হয়েছে।

খাদ্য ও ওষুধের চরম সংকটে থাকা শিবিরে গত বছর থেকেই দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মাঝে, পাশের আবু শউক শিবিরেও RSF-এর হামলায় আরও ৪০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা এটিকে একটি “অমানবিক নৃশংসতা” হিসেবে অভিহিত করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের সদস্য মোহামেদ চান্দে সতর্ক করে বলেন, “আমরা আশঙ্কা করছি, এই সংঘাতের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায় এখনো বাকি।”

বিশ্বের বৃহত্তম বাস্তুচ্যুতি সংকট মোকাবেলা করা সুদান আজ এক গভীর মানবিক বিপর্যয়ের দোরগোড়ায়।