আজকাল ওয়েবডেস্ক: সূর্য প্রতিদিন ধরে আমাদের আলো দিয়ে চলেছে। আমরা এমন সময়ে রয়েছি যেখানে সূর্য তার যৌবনের সময়ে কাটাচ্ছে। প্রতি ১১ বছর অন্তর সূর্যের মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এর মানে হল প্রতি ১১ বছর পর সূর্য খানিকটা করে বৃদ্ধ হয়ে যায়। আমরা এমন সময়ে রয়েছি যেখান থেকে আগামী ১১ বছরে আরও সৌরঝড়, সূর্যের তাপ আমাদেরকে সহ্য করতে হবে। পাশাপাশি সমস্ত স্যাটেলাইট এবং মহাকাশের বাকি যন্ত্রগুলি বেশি করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তবে একটা বিষয় বিজ্ঞানীরা অবাক হয়েছেন সূর্যের থেকে বাকি নক্ষত্ররা যেখানে অনেক বেশি সক্রিয় থাকে সেখানে সূর্যের একটানা এক অবস্থায় থাকা কেন রয়েছে। অন্য নক্ষত্রদের তুলনায় এর রেডিয়েশন প্রায় ১০০ ভাগের এক ভাগ রয়েছে। এর কী প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীর ওপর।
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সংবিধান সংশোধন বিল নিয়ে তুলকালাম, ‘কালো দিন’, বললেন মমতা...
জার্মানির একদল গবেষক মনে করছেন সূর্য তার সেরা সময়ে একেবারে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে। তার গতি এবং তাপের ওপর সৌরমন্ডলের যে গ্রহরা প্রভাবিত হয়েছে তাদের কাছে সূর্য একেবারে শান্ত রয়েছে। তবে প্রতি ১১ বছর অন্তর সূর্য প্রথমদিকে নিজেকে এভাবেই শান্ত করে নেয়। এরপর পরবর্তী ১১ বছরে সে একেবারে ভয়ঙ্কর রূপ নেয়।
তবে সূর্যের এই পরিবর্তন পৃথিবীর ওপর একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবেই। এরফলে সবার আগে প্রভাব পড়বে পৃথিবীর পরিবেশের ওপর। যত বেশি হারে সূর্য নিজের তাপ বৃদ্ধি করবে ততই তার মধ্যে ক্ষয় হতে থাকবে। ফলে সেখান থেকে সূর্য ধীরে ধীরে তাকে পরিক্রমা করা সমস্ত গ্রহকে নিজের দিকে আরও খানিকটা টেনে নেবে।

সূর্যের কাছ থেকে যে রেডিয়েশন বের হয় তাকে এড়িয়ে যাওয়া একপ্রকার অসম্ভব বলেই মনে হবে। এরফলে দ্রুত হারে কমবে পৃথিবীর আয়ু। ঠিক প্রদীপের মতো। যেন নিজের আলো কমে যাওয়ার আগে বেশি করে জ্বলে ওঠে। তবে সেই সময় আসতে এখনও ঢের দেরি রয়েছে। শেষের সেই দিন কতজন দেখতে পারবেন তা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন থেকে যাবে। তবে সূর্যিমামা যে আগামী ১১ বছরের মধ্যে যে কিছু নতুন খেলা দেখাবে তা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত গবেষকরা।
আসলে একটি নক্ষত্র টানা বিকিরণ হতে হতে এমন পরিস্থিতি তৈরি করে যখন তার মধ্যে আর গ্যাসীয় পদার্থ থাকে না। তবে মহাকাশ যেহেতু শূণ্য। তাই এই গ্যাস শেষ হতে অনেকটা সময় লেগে যায়। সেদিক থেকে দেখতে হলে সূর্যের তাপ কমতে সময় লাগবে অনেকটাই। যে সৌরঝড় সূর্যের শক্তির অন্যতম উৎস তাকে সঙ্গী করেই সে নিজেকে এতগুলি বছর ধরে রেখেছে।
সূর্যের কাছের গ্রহগুলিকে সে বেশি করে পছন্দ করবে সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এই তালিকাতে মঙ্গল, বুধ, পৃথিবী যে বিশেষভাবে প্রভাবিত হবে সেটাও প্রায় নিশ্চিত। যে টান এতগুলি বছর ধরে এই গ্রহদের ধরে রেখেছে তাকে সামনে রেখেই সেই মহা বিস্ফোরণের অপেক্ষা করছেন সকলে। সেদিন যত দেরি হয় ততই ভাল।
