আজকাল ওয়েবডেস্ক: সমুদ্রের সঙ্গে পৃথিবীর সম্পর্ক বহু যুগের। একে ছাড়া পৃথিবীতে প্রাণের স্পন্দন তৈরি হতে পারত না। তবে এটা অনেকেই জানেন না সমুদ্র যে পরিমানে কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে পৃথিবীকে মুক্ত করে সেটা গাছের তুলনায় কোনও অংশে কম নয়।
 
 প্রতিদিন বদলে যাচ্ছে বিশ্ব। পরিবেশ সেখানে নতুন করে নিজের অবস্থান তৈরি করছে। সেদিক থেকে দেখতে হলে পৃথিবীতে বাড়ছে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান। তবে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে সমুদ্রের জল প্রচুর পরিমানে কার্বন ডাই অক্সাইডকে শোষণ করে চলেছে। 
 
 পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখতে গাছের ভূমিকা সবথেকে বেশি। সেখান থেকে অক্সিজেন তৈরি হয়ে থাকে। গাছেরা পরিবেশ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড নিয়ে থাকে। তবে সমুদ্রও কার্বন ডাই অক্সাইডকে শোষণ করে থাকে।
 
 সম্প্রতি আমেরিকার একটি গবেষণা সংস্থার পক্ষ থেকে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। সেখান থেকে তারা জানতে পেরেছেন সমু্দ্রের জল থেকে যে পরিমান কার্বন ডাই অক্সাইড শোষিত হচ্ছে তা অবাক করে দেওয়ার মতো। পৃথিবীর মোট কার্বন ডাই অক্সাইডের একটি বড় অংশ সমুদ্র তার জলের নিচে টেনে নিয়েছে। ফলে সেখান থেকে পরিবেশ অনেক বেশি মুক্ত এবং সুন্দর হতে পেরেছে।
 
 ইংলিশ চ্যানেলের কাছে গবেষকরা এই পরীক্ষাটি করেন। এখানে জলের যে টান রয়েছে সেখানে প্রচুর পরিমানে কার্বন ডাই অক্সাইড মিশে রয়েছে। ফলে যেসব সাঁতারুরা এখান থেকে পার হন তারা এই টান অনেক বেশি করে বুঝতে পারেন। 
 
 সবথেকে অবাক করা বিষয় হল বাতাস থেকে সরাসরি এই কার্বন ডাই অক্সাইডকে শোষণ করে সমুদ্র। ফলে সেখানে জলের একটি বিরাট ভূমিকা থাকে। এছাড়া প্রতি বছর যে জলের দূষণ তৈরি হয় সেখান থেকেও ক্ষতিকারক পদার্থকে টেনে নিয়ে যায় সমুদ্র। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন বাতাস থেকে বছরে ১৪ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইডকে টেনে নেয় সমুদ্র। এটি একটি এমন তথ্য যা অবাক করেছে সকলকেই। 
