আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘরে বাইরে প্রবল চাপ। একাধিক সূত্রের তথ্য ছিল, তিনি হয়তো একেবারে হাসিনার পথ অনুসরণ করে নেপাল ত্যাগ করবেন। তবে প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, প্রবল চাপের মুখে নতিস্বীকার করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছেন নিজের পদত্যাগপত্র। এর আগে সেনার তরফে তাঁকে পদত্যাগের অনুরোধ জানানো হয়েছিল, সূত্রের খবর, সেনা-ই তাঁকে প্রবল বিক্ষোভের মাঝে নতিস্বীকারে বাধ্য করেছে। 

 

রবিবার থেকেই ক্ষোভের আগুন নেপালের পথে। সোমবার থেকে আঁচ বেড়েছে ক্রমে। সোমবার বিক্ষোভরত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের গুলিতে, সংঘর্ষে। সোমবার রাতেই জরুরি বৈঠক ডেকে সরকার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিলেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। সোমের পর মঙ্গল। ক্রমের আঁচ বাড়তে থাকে কাঠমাণ্ডু-সহ নানা জায়গায়।  সোমবারে পার্লামেন্টে ঢুকে পড়ার পর, মঙ্গলে বিক্ষোভকারীরা দখল নেয় প্রেসিডেন্টের বাসভবনের। বিক্ষোভকারীরা নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ডের বাড়িতেও ভাঙচুর চালায় বলে জানা যায় মঙ্গলবার সকালে। একইসঙ্গে জানা যায়, মঙ্গলবার কাঠমান্ডুতে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সরকারি বাসভবনে গুলি চালানো হয়েছে, তাতে একজন আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পোড়েলের বাসভবনের সামনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। 

?ref_src=twsrc%5Etfw">September 9, 2025

 

একইসঙ্গে মঙ্গলবার সকাল থেকে আরও জোরাল হতে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি। কিছুক্ষোন আগেই জানা যায়, গণবিদ্রোহ, মৃত্যুমিছিলের মাঝে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ওলিকে ইস্তফা দিতে বলেছেন নেপালের সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগডেল! বিক্ষোভের অভিঘাত আঁচ করতে পেরেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি দুবাই যাওয়ার মনস্থির করেছেন। নিরাপদে যাতে দেশ ছাড়া যায় সেই জন্য সেনার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। ওলি চিকিৎসার অজুহাতে দুবাই যাওয়ার কথা ভেবেছেন। বেসরকারি বিমান সংস্থা, হিমালয় এয়ারলাইন্সকে প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্ট্যান্ডবাইতে থাকতে বলা হয়েছে বলেও খবর মিলেছিল। তবে তার ঘণ্টাখানেক পরেই সামনে আসে ওলির পদত্যাগের তথ্য। 

আরও পড়ুন: সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, যে পথে যেদিকে আন্দোলন,

রবিবার থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয় নেপাল। পরিস্থিতি খারাপ হয় সোমবার। দিনভর দফায় দফায় বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, গুলি, জলকামান। বেলা যত বাড়ে, ততই লাফিয়ে বাড়তে থাকে মৃত্যু সংখ্যা। পরিস্থিতি বিচারে সোমবার দুপুরেই জানা গিয়েছিল, নেপাল সরকার সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পুনরায় ভাববে।

মৃত্যুমিছিলের মাঝে দাঁড়িয়ে পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে সিদ্ধান্ত। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, জেন-জি-দের প্রবল বিক্ষোভের মাঝেই একপ্রকার নতিস্বীকার করে নিয়েছে নেপাল সরকার। সোশ্যাল মিডিয়াগুলির উপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে সোমবার গভীর রাতের বৈঠকের পরেই। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, তারপরেও দেশের নানা জায়গায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুঁড়ে রাস্তায় নেমে আসার পর রাজধানী কাঠমাণ্ডু সহ দেশের বেশ কয়েকটি অংশে কারফিউ জারি করা হয়েছে।