আজকাল ওয়েবডেস্ক: এবার ঘরে ফেরার সময় হয়েছে সুনীতা এবং বুচ উইলমোরের। প্রায় ১০ মাস ধরে মহাকাশে কাটানোর পর এরা দুজনেই এবার পৃথিবীতে পা দেবেন। ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে এই দুজনে মহাকাশের বাসিন্দা হয়ে রয়ে গিয়েছেন। এবার তাদের ঘরে ফেরার পালা।


তবে পৃথিবীতে ফেরার পর সুনীতাদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হবে এখানকার মাটিতে পা দিয়ে হাঁটে চলার কাজটি। নাসার প্রাক্তন মহাকাশ বিজ্ঞানী লেরস চিয়াও জানিয়েছেন মহাকাশ থেকে সুনীতারা যখন পৃথিবীর মাটি পা দেবেন তখন তাদের পায়ের প্রতিটি পদক্ষেপ হবে একেবার নতুন জন্ম নেওয়া একটি শিশুর মতো।

 


পায়ের যে শক্ত চামড়ার উপর মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে বা হাটাচলা করে সেখানে এখন সুনীতাদের পায়ের পাতার চামড়া একেবারে তুলোর মতো নরম হয়ে গিয়েছে। তাই তারা পৃথিবীতে এসেই হাঁটতে পারবে না। এখানেই শেষ নয়, পায়ের পাতার বহু কোষ বর্তমানে প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে। সেগুলি পৃথিবীর আকর্ষণ না পেলে সক্রিয় আকার ধারণ করবে না। ১২ মার্চ অর্থাৎ আজই মহাকাশে যাত্রা করবে ক্রিউ নাইন। এরপর ১৬ মার্চ তারা দুজনেই পা দেবে পৃথিবীর মাটিতে। 

 


নিজের সাক্ষাৎকারে সুনীতা জানিয়েছেন তিনি মহাকাশের সবকিছুকেই মিস করবেন। সেখানে এই দীর্ঘসময় ধরে থাকা। এটি যেন জীবনের এক অসাধারণ সময়। চোখ খোলা থেকে শুরু করে ঘুম সবই যেন মহাকাশ তাঁদেরকে আদর করে করেছে। অতল অন্ধকার যেন সেখানে অন্ধকার নয়। এই অভিজ্ঞতাকে তাঁরা জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মনে রাখতে চান। 

 


এবারের নতুন বছর সুনীতারা মহাকাশে কাটিয়েছেন। পাশাপাশি স্পেসওয়াক করে তারা নতুন রেকর্ড তৈরি করেছেন। পৃথিবীর মাটিতে এসে সুনীতাদের যে খানিকটা সময় মানিয়ে নিতে লাগবে সেকথা তারা নিজেরাও জানে। নাসা সেই কাজকেই দ্রুত করার দিকে মন দিয়েছে। এবার বাকি কাজটা শেষ হলেই পৃথিবীতে ফের নিজের বাড়িতে ফিরতে পারবেন সুনীতা এবং তাঁর সহযোগী বুচ। গোটা বিশ্ববাসী তাকিয়ে রয়েছে সেদিকেই।