আজকাল ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে 'অপারেশন সিঁদুর' অভিয়ান চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই হামলায় পাক মদতপুষ্ট বহু সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছিল। নিহত হয়েছিল শতাধিক জঙ্গি। নিহতদের মধ্যে ছিল জইশ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) প্রধান মাসুদ আজহারের পরিবারের সদস্যরাও। এবার নয়াদিল্লির এই দাবি স্বীকার করল খোদ জইশ কমান্ডার। সে জানিয়েছে, বাহাওয়ালপুরে হামলায় সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর শীর্ষ কমান্ডার মাসুদ আজহারের পরিবার "ছিন্নভিন্ন" হয়ে গিয়েছে।
ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে, জইশ-ই-মোহাম্মদের কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরিকে ব্যাখ্যা করতে শোনা যাচ্ছে যে, কীভাবে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী তাদের (জঙ্গিদের) আস্তানায় প্রবেশ করে আক্রমণ চালিয়েছিল।
ভাইরাল ক্লিপে কাশ্মীরি উর্দুতে মাসুদ ইলিয়াস বলেছেন, "আমরা এই দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্য দিল্লি, কাবুল এবং কান্দাহারের সঙ্গে লড়াই করেছি। সবকিছু ত্যাগ করার পর, ৭ মে, বাহাওয়ালপুরে ভারতীয় বাহিনী মৌলানা মাসুদ আজহারের পরিবারকে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিল।"
'অপারেশন সিঁদুর'
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন ভারতীয় বাসিন্দা নিহত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অভ্যন্তরে 'অপারেশন সিঁদুর' অভিযান চালিয়ে নয়'টি সন্ত্রাসবাদী শিবির ধ্বংস করে দেয়। সেই আক্রমণে রাতভর বিমান হামলা চলেছিল। এই অভিযানের সময় জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) এবং লস্কর-ই-তৈইবা (এলইটি)-র ঘাঁটিও লক্ষ্য করা গিয়েছিল। পাকিস্তান পরে স্বীকার করেছে যে, এই হামলায় তাদের নয়'টি স্থানে আঘাত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বাহাওয়ালপুর, কোটলি এবং মুরিদকে। এগুলি সবকটাই উগ্রপন্থী কার্যকলাপের পরিচিত কেন্দ্রস্থল।
পাকিস্তানের দ্বাদশ বৃহত্তম শহর বাহাওয়ালপুরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল, কারণ সেটি জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। লাহোর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, জামিয়া মসজিদ সুবহানআল্লাহ-ই জইশ-ই-মহম্মদের অপারেশনাল সদর দপ্তর, যা উসমান-ও-আলী ক্যাম্পাস নামেও পরিচিত।
২০০০ সালের গোড়ার দিকে রাষ্ট্রসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী মাসুদ আজহার কাশ্মীরে জিহাদের ডাক দেওয়ার সময় গঠিত জেইএম গত দুই দশক ধরে ভারতীয় মাটিতে অসংখ্য হামলার জন্য দায়ী। অপারেশন সিঁদুরের পর, পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে যে, মাসুদ আজহার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে স্বীকার করেছেন যে- ভারতীয় অভিযানে তার পরিবারের ১০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।
আজহার নিজেও বছরের পর বছর ধরে আত্মগোপনে আছেন, পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি দাবি করেছেন যে ইসলামাবাদ মাসুদ আজহারের অবস্থান সম্পর্কে অবগত নয়। চলতি বছর জুন মাসে এক সাক্ষাৎকারে ভুট্টো জারদারি বলেছিলেন যে, ভারত যদি আজহারের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দেয় তবে পাকিস্তান তাকে আনন্দের সঙ্গে গ্রেপ্তার করবে।
আরও পড়ুন -: তবে কি সমাধানসূত্র বেরোবে? বাণিজ্যে চুক্তি নিয়ে দিল্লিতে আলোচনায় বসতে চলেছে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
