আজকাল ওয়েবডেস্ক: সান্তা ক্লজ সেজে পরিবারের সকলে চমকে দিয়েছিলেন যুবক। সন্ধে থেকে শুরু হয়েছিল হইহুল্লোড়। খানিকক্ষণেই রক্তস্রোতে ভেসে যায় ঘর। স্ত্রী, সন্তান সহ ছ'জনকে এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ বসান তিনি। ছ'জনকে নৃশংসভাবে খুনের পর আত্মঘাতী হন যুবক। ক্রিসমাসের সন্ধেয় খুন-আত্মহত্যার ঘটনায় শোরগোল পড়েছিল গোটা টেক্সাসে। 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১১ সালে। টেক্সাসের গ্রেপভাইনে। পুলিশ জানিয়েছে, ক্রিসমাসের পার্টিতে যুবককে আমন্ত্রণ জানাননি শ্যালিকা। তাঁকে ছাড়াই দুই সন্তানকে নিয়ে পার্টিতে গিয়েছিলেন স্ত্রী। সে খবর জানতে পেরেই রাগে, ক্ষোভে চরম পদক্ষেপ করেন তিনি। সেদিন সান্তা ক্লজ সেজে শ্যালিকার বাড়িতে যান যুবক। তাঁকে দেখেই সকলে চমকে যান। সান্তা সেজে মজা করতে করতে আচমকা সকলকের উপর চড়াও হন। 

স্ত্রী, দুই সন্তান, শ্যালিকা, তাঁর স্বামী ও সন্তানকে ছুরির কোপ বসিয়ে খুন করেন। এরপর ৯১১ নম্বরে ফোন করে খুনের ঘটনাটি জানান। ফোনে জানানোর সময়েই গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন যুবক। তিন মিনিটের মধ্যে ঘরে পৌঁছে সাতটি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

পুলিশ জানিয়েছে, আর্থিক সঙ্কটে ভুগছিলেন যুবক। যা ঘিরে পারিবারিক অশান্তিও শুরু হয়েছিল। ২০১০ সাল থেকে সন্তানদের নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন স্ত্রী। আর্থিক সঙ্কটের কারণে পরিবার থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল যুবককে। অপমানেই সকলকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।