আজকাল ওয়েবডেস্ক: যারা ধূমপান করেন না তাদেরও হতে পারে ফুসফুসের ক্যান্সার। শুনে অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি। আইএআরসি সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করেছে। সেখান থেকে দেখা গিয়েছে যারা ধূমপান করেন না তাদের দেহেও ফুসফুসের ক্যান্সারের মাত্রা বাড়ছে। এর প্রধান কারণ হিসাবে রয়েছে পরিবেশ দূষণ।
 
 যারা দিনরাত ধরে ধূপমান করে থাকেন তাদের দেহে ক্যান্সার হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়। তবে যারা সেখান থেকে দূরে থাকেন তাদের দেহেও এবার দেখা গিয়েছে ক্যান্সার। এই ক্যান্সার মহিলা এবং পুরুষ উভয়েরই হতে পারে। সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে ফুসফুসের মধ্যে ৫৩ থেকে ৭০ শতাংশ এলাকায় ক্যান্সার দেখা দিয়েছে। যারা কখনও ধূপমান করেননি তারাও এর শিকার হতে পারেন।
 
 যদি কেউ আপনার পাশে থেকে ধূপমান করেন তাহলে সেই বিষাক্ত ধোঁয়া আপনার ফুসফুসে আসতে পারে। আপনি ধূমপান না করলেও সেই ধোঁয়ার শিকার হবেন আপনিও। পরিবেশ দূষণ এই প্রক্রিয়াকে করতে আরও অনেক বেশি সহায়তা করে থাকে। দেখা গিয়েছে ফুসফুসের বেশিরভাগ অংশ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে কিন্তু যে ব্যক্তির এই পরিস্থিতি তৈরি হয় তিনি টেরও পান না।
 
 ২০২২ সালের একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে বিশ্বের ফুসফুস ক্যান্সারের ৫৯ শতাংশ এসেছে নতুন এই বিপত্তি থেকে। যারা ধূমপান করেন না তাদের দেহেও মিলেছে ক্যান্সারের জীবানু। পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্ম যেভাবে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ধূমপান করে থাকেন তাতে দেহের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। 
 
 ভারতের মত জনবহুল দেশে ফুসফুসের ক্যান্সার বেশি হবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে যারা ধূমপান করেন না তারা যদি এই মারাত্বক ব্যাধির শিকার হয়ে থাকেন তাহলে তার থেকে খারাপ কিছুই হতে পারে না। পরিবশ যে হারে দূষণ হচ্ছে তাতে সেখান থেকে ফুসফুসে বাড়তি চাপ পড়ে থাকে। তবে ধূমপান না করেও যদি ফুসফুসের ক্যান্সার হয়ে যায় তাহলে সেখান থেকে বাঁচাতে হবে নিজেকেই। 
