আজকাল ওয়েবডেস্ক: নানা মুনির নানা মতের মতোই। নানা জায়গা, নানা নিয়ম। একেক জায়গার একেক নিয়ম সামনে আসতে মাঝে মাঝেই ভিরমি খান অনেকেই। যেমন সম্প্রতি বেশ চর্চায় সুদূর প্রবাসের এক নিয়ম। ঠিক নিয়ম নয়, অনেকেই বলছেন সুযোগ। কীরকম? তথ্য, ওই বিশেষ জায়গায় আদিবাসীদের মধ্যে এক বিষয় রয়েছে। তাতে মেয়েরা কিশোরী বেলা পেরোতেই বাবা-মা নিজেরাই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বানিয়ে দেন অন্য ঘর। নিজের পছন্দের মতো ছেলে খুঁজে সেখানেই থাকতে পারবে তারা। এই সুযোগ বা নিয়মের কারণ আদতে একটি লক্ষ্যে। যাতে নিজেরা, সময় দিয়ে, একান্তে সময় কাটিয়ে খুঁজে নিতে পারে মনের মানুষকে। আর এই নিয়ম শোনার পর থেকে জোর চর্চা। কোথায় রয়েছে এই নিয়ম?

সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের একটি প্রতিবেদনের তথ্য, কম্বোডিয়ার একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে, ছেলে মেয়ে একটু বড় হওয়ার পর, বাবা মা একটি অন্য বাড়ি বানিয়ে দেয় তাদের জন্য। অনেকেই ভেবে ভুল করতেই পারেন, হয়তো আলাদা ভাবে পড়াশোনার জন্য এই বাড়ি। তবে তথ্য অন্য। তথ্য, পড়াশোনার জন্য নয়, ক্রুং উপজাতির লোকজন কিশোরী মেয়েদের কোনও বিচার ছাড়াই সম্পর্ক অন্বেষণ করার জন্য একটি ব্যক্তিগত জায়গা বানিয়ে দেন। নাম দেওয়া হয় ‘লাভ হাট’, বাংলায় বললে ‘ভালোবাসার কুটির’। এই ভালোবাসার ঘরগুলির উদ্দেশ্য কী? তরুণীদের তাদের পছন্দের ছেলেদের সেখানে রাত কাটানোর জন্য আমন্ত্রণ জানায়। বাইরের লোকদের কাছে এটি অবাক করার মতো শোনাতে পারে তবে, ক্রুংদের মধ্যে, এই ঐতিহ্য গভীরভাবে এক বিশ্বাসের জন্ম দেয় ।

আরও পড়ুন: ১৩ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে টানা দুর্যোগ, ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিতে ছারখার হবে উত্তর থেকে দক্ষিণ, রইল আবহাওয়ার লেটেস্ট আপডেট


 এটি ওই বিশেষ প্রজাতির  ঐতিহ্যের অংশ বলে জানা গিয়েছে।  মনে করা হয়, এভাব নিজেদের পছন্দে, পরিবারের হস্তক্ষেপ ছাড়া প্রাণের মানুষ খুঁজে পাওয়ার কারণে সব পক্ষের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক, শ্রদ্ধা বজায় থাকে। 

যদিও এই তথ্য সামনে আসতে অনেকেই বেশ নাক কুঁচকে বলছেন, এটি ঐতিহ্য নয়, এটি নাকি মূল্যবোধের অভাব। যদিও ওই প্রজাতির মত অন্য। তাদের কাছে মূল্যবোধের অভাব নয়, তারা বরং একটি ছকে বাঁধা জীবন বোধের জন্ম দেন মেয়েদের মধ্যে। তথ্য, সেখানকার মেয়েরা এই ঝুপড়িতে উন্মাদ পার্টি করে না। বরং, তারা চুপচাপ ছেলেদের কথা বলার, সংযোগ স্থাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানায় এবং হ্যাঁ, যদি তারা এটি সম্পর্কে সঠিক মনে করে, তবে তারাও তার সঙ্গে রাত্রিবাস করে অনায়াসে। 

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের সঙ্গে কথা বলার সময়, এক ক্রুং তরুণী বিষয়টি সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন। কী বলছে সে? বলছে,  ‘যদি আমি কোনও ছেলের সঙ্গে আমি রাত্রিবাস করতে চাই, ভাবি, তাহলে আমি আগে তাকে বেশকিছু প্রশ্ন করব। যদি সে অলস প্রকৃতির হয় কিংবা কথা বলে আমার মনে হয় আমার মনের ভাবনার সঙ্গে খাপ খাচ্ছে না, তাহলে অবশ্যই আমি তাকে আমন্ত্রণ জানাব না।‘

বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, প্রেমের কুঁড়েঘরের ঐতিহ্য মেয়েদের কেবল তাদের যৌনতা অন্বেষণ করার ক্ষমতা দেয় না বরং তাদের সঙ্গীদের সম্পর্কে বিচার করার একটি শক্তিশালী ধারণা তৈরি করে। তারা পরিবারের কোনও চাপের ভিত্তিতে নয়, চরিত্রের ভিত্তিতে সম্ভাব্য জীবনসঙ্গী নির্বাচন করে। পরবর্তীকালে বিবাদের সম্ভাবনা কম থাকে সঙ্গীদের মধ্যে।