আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ইরানে হামলার কারণ কী?‌ তা বোঝাতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মানচিত্র পোস্ট করেছিল ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। কিন্তু সেখানে ভারতের ভুল মানচিত্র দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পাক অধিকৃত জম্মু–কাশ্মীরকে সেই মানচিত্রে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হিসাবে দেখানো হয়েছে। আইডিএফ এই পোস্ট করার পর থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নেটিজেনদের কেউ কেউ ইজরায়েলের ওই পোস্টের নীচেই ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। কেউ আবার খোদ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে উল্লেখ করে মানচিত্র নিয়ে ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। বিতর্ক বাড়তে থাকায় মানচিত্রে ত্রুটি আছে বলে স্বীকার করে নিল আইডিএফ। ক্ষমাও চেয়েছে তারা।


প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোরে ইরানে হামলা চালায় ইজরায়েল। তাতে মৃত্যু হয় ইরানের চার শীর্ষ সেনাকর্তা এবং ছ’জন পরমাণু বিজ্ঞানীর। এই হামলার পরেই একটি মানচিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে আইডিএফ। যেখানে মূলত পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিকে দেখা গিয়েছে। এছাড়া পূর্বে ভারত, পাকিস্তান এবং পশ্চিমে আফ্রিকার কিছু অংশও ওই মানচিত্রে রয়েছে। মানচিত্রের একেবারে মাঝে ইরানকে দেখানো হয়েছে। তার চারপাশে বেশ কয়েকটি স্তর ভাগ করে বোঝানো হয়েছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা কত দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। সেখানে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সুদান, তুরস্ক, চীন, কাজাখস্তান, রাশিয়া, ইউক্রেন, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, মিশর, লিবিয়া, ইথিওপিয়া, ওমান, জর্ডন এবং সৌদি আরবের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ, ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে এই দেশগুলিতে তার প্রভাব পড়তে পারে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা এই দেশগুলি পর্যন্ত বিস্তৃত। মানচিত্র দেখিয়ে আইডিএফ লিখেছিল, ‘ইরান সারা বিশ্বের কাছেই বড়সড় হুমকি। পদক্ষেপ করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।’ 


কিন্তু ইজরায়েল বাহিনীর এই মানচিত্রে ভারতের উত্তরে জম্মু–কাশ্মীরের অংশ নেই। রাখা হয়নি পাক অধিকৃত কাশ্মীরকেও। নেপাল ও ভুটান এবং উত্তর–পূর্ব ভারতকে একটিই দেশ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যা নিয়ে অনেকেই অভিযোগ জানাতে শুরু করেন। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে বিতর্ক বুঝে আইডিএফ পাল্টা একটি পোস্ট করে। তাতে লেখা হয়, ‘এটি গোটা অঞ্চলের একটি ছবি। এই মানচিত্রে সঠিকভাবে সীমানা চিহ্নিত করা যায়নি। এর জন্য কারও খারাপ লেগে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।’