আজকাল ওয়েবডেস্ক: এই নিয়ে পরপর তিনদিন। রবিবার রাতে থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে পরপর মিসাইল হামলায় কেঁপে উঠল একাধিক অঞ্চল। আন্তর্জাতিক মহলের যুদ্ধবিরতির আর্জিকে উপেক্ষা করেই এই হামলা চলেছে টানা তৃতীয় দিনের মতো। ইরানের অভিযোগ, ইজরায়েলের তরফে ইরানের একাধিক তেল শোধনাগারকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস (IRGC)-এর গোয়েন্দাপ্রধান ও আরও দুই শীর্ষ জেনারেলের মৃত্যু হয়েছে ইজরায়েলের হামলায়।

পাশাপাশি, দেশের একাধিক জনবসতিপূর্ণ এলাকায়ও হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। ইরানের স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েলি আক্রমণে এখনও পর্যন্ত ২২৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১,২৭৭ জন। যদিও নিহতদের মধ্যে কতজন সাধারণ মানুষ এবং কতজন সামরিক কর্মী, তা জানানো হয়নি। অন্যদিকে, ইজরায়েল দাবি করেছে, ইরানের তরফে শুক্রবার থেকে এখনও পর্যন্ত ২৭০-র বেশি মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই ইসরায়েলের মাল্টি-লেয়ারড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে আটকানো গেলেও ২২টি মিসাইল ঢুকে পড়ে দেশের অভ্যন্তরে।

সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের, আহত হয়েছেন ৩৯০ জন। ইজরায়েল জানিয়েছে, তারা মূলত ইরানের পারমাণবিক পরিকাঠামো ও সামরিক নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। তবে এই পরিস্থিতিতেও ইরান যুদ্ধবিরতির আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে। কাতার ও ওমানের মাধ্যমে চালানো মধ্যস্থতায় তেহরান জানিয়ে দিয়েছে, তারা এখনই কোনও শান্তি আলোচনায় বসতে চায় না। ইজরায়েলের ‘প্রিভেন্টিভ স্ট্রাইক’-এর যোগ্য জবাব দেওয়ার পরেই আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ইরান। এই পাল্টা হামলার সূত্রপাত শুক্রবার শুরু হওয়া ইজরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর মাধ্যমে। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানান, ‘ইরানের হুমকি থেকে ইজরায়েলের অস্তিত্ব রক্ষাই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য। যতদিন প্রয়োজন, অভিযান চলবে’।