আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে বাড়ছে টেনশন। একে অপরের দিকে চলছে ড্রোন হামলা। মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ফের নতুন করে ঘনিয়েছে যুদ্ধের কালো মেঘ। বিষয়টি নিয়ে খানিকটা চিন্তায় রয়েছে ভারতও।


শুধু ভারত নয় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ এই পরিস্থিতিতে চিন্তায় রয়েছে। আর তাদের চিন্তার প্রধান কারণ হল স্ট্রেট অফ হরমুজ। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যেখান থেকে বিশ্বের তিনভাগের একভাগ তেল পাঠানো হয়।


স্ট্রেট অফ হরমুজ  হল একটি সংকীর্ণ জলপথ যা পারস্য উপসাগরকে ওমান উপসাগর এবং আরব সাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করে। এটি ইরান ও ওমানের মধ্যে অবস্থিত এবং বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সামুদ্রিক পথ, যেখানে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে তেল পরিবহন করা হয়।


এটি একটি সংকীর্ণ সমুদ্রপথ যা পারস্য উপসাগরের প্রবেশপথ হিসেবে কাজ করে এবং ওমান উপসাগরের সঙ্গে যুক্ত করে। ইরান ও ওমানের মধ্যে অবস্থিত।  বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তেল চোকপয়েন্টগুলির মধ্যে একটি, কারণ এখান দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে অপরিশোধিত তেল পরিবহন করা হয়। 


তেলবাহী জাহাজগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জলপথ, যা প্রতিদিন কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল পরিবহন করে।  ভূ-রাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই পথ দিয়ে তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে বিশ্ব অর্থনীতিতে এর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। সংক্ষেপে, স্ট্রেট অফ হরমুজ হল একটি সংকীর্ণ সমুদ্রপথ যা পারস্য উপসাগরকে ওমান উপসাগরের সঙ্গে যুক্ত করে এবং বিশ্বের তেল সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


এখান থেকে যদি তেলের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় বা কোনও ক্ষতি হয় তাহলে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে ভারতের তেলের বাজারে। এই রুট ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প পথ নেই। ফলে সেখান থেকে যদি কোনও ক্ষতি হয়। তাহলে তার প্রভাব ভারত সহ গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পড়বে।


জেপি মর্গান ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করেছে যে তেলের দাম এরফলে বাড়তে পারে। আর যদি সেটা হয় তাহলে সেখান থেকে তেলের দাম হু হু করে বাড়তে পারে। ফলে সেখানে জ্বালানির দাম বাড়বে। তার সরাসরি প্রভাব পড়বে নিত্যদিনের বাজারে। সেখানে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়বে। ফলে মধ্যবিত্তের মাথায় বাড়তি চাপ পড়বে।