আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইরান, ইজরায়েল এবং অন্যান্য পশ্চিমি দেশগুলির মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলতে থাকা সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র। ইজরায়েলের মতে, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তাহলে এটি তার অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এই কারণেই ইজরায়েল ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হতে না দেওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

তবে এটা মনে রাখা দরকার যে ইজরায়েল নিজেই একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। এরপরেই প্রশ্ন ওঠে, ইজরায়েল কীভাবে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেছিল, গোটা বিশ্ব কখন তা জানতে পেরেছিল এবং তাদের কাছে বর্তমানে ক‘টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে?

ইজরায়েল সর্বদাই 'অঘোষিত পারমাণবিক শক্তি' হিসেবে পরিচিত। কারণ দেশটি কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডারের কথা স্বীকার করেনি, কখনও অস্বীকারও করেনি। এই কারণেই তাদের কাছে ক’টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে তা সঠিকভাবে অনুমান করা কঠিন। ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টস এবং স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতে, ইজরায়েলের কাছে বর্তমানে প্রায় ৯০টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। 

অনেকেরই ধারণা, ইজরায়েলের কাছে ভারত ও পাকিস্তানের সমান পারমাণবিক বোমা রয়েছে। প্রাক্তন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী কলিন পাওয়েলের ফাঁস হওয়া একটি ইমেলের পর এই ধারণা আরও জোরদার হয়। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ইজরায়েলের কাছে ২০০টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে। যার সবকটিই ইরানের দিকে তাক করা রয়েছে। ইজরায়েল বিশ্বের অন্যতম দেশ যারা পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT) স্বাক্ষর করেনি। দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি এবং এর ক্ষমতা সম্পর্কে সব দেশেরেই অস্পষ্ট ধারণা রয়েছে।

স্বাধীনতার পরেই ১৯৫২ সালে ইজরায়েল অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন গঠন করে। অনেকেরই ধারণা, দিমোনা শহরের কাছে ১৯৫৮ থেকেই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা শুরু করে দিয়েছিল ইজরায়েল। ১৯৬৭ সালের মধ্যে ইজরায়েল গোপনে পারমাণবিক বিস্ফোরক তৈরির ক্ষমতা অর্জন করেছিল। ১৯৭৩ সালে আমেরিকা মেনে নেয় যে ইজরায়েল পরমাণু শক্তিধর দেশ। পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি গোপনে যে দেশগুলি ইজরায়েলকে বিক্রি করেছিল তারাই এখন পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির অংশ।