আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজকের তরুণ প্রজন্ম, অর্থাৎ জেনারেশন জেড, আর আগের মতো একত্র নয়—তারা এখন দ্বিধাবিভক্ত, এবং বিভাজনটা লাজুক ফিল্টার আর কটাক্ষভরা রিলসের মাঝামাঝি কোথাও। একদিকে আছে জেন জেড ১.০ (প্রায় ১৯৯৭-২০০৪ জন্ম), যারা টাম্বলারের নিঃশব্দ প্ল্যাটফর্মে  আজও আলো জ্বালায়, অন্যদিকে জেন জেড ২.০ (২০০৪-২০১২), যারা স্কিনকেয়ার আর সার্কাস্টিক ডিসকোর্সেই জীবনের মানে খোঁজে।

প্রথম অংশের আবেগ তৈরি হয়েছে অরিজিৎ সিংয়ের ২৪০পি ভিডিওতে, সেপিওসেক্সুয়াল ইনস্টাগ্রাম বায়ো আর রুপি কৌরের কবিতায়। তারা ‘ক্রিঞ্জ’ হতো গর্বে, বোঝাতে পারতো হৃদয় ভাঙার রঙটা ঠিক কোন রঙের। ফুলের মুকুট পরে ‘ফাইন্ডিং মাইসেল্ফ ইন গোয়া’ টাইপ সংকল্প ছিল তাদের ট্রেডমার্ক।

অন্যদিকে, দ্বিতীয় দল একবিংশ শতাব্দীর আলগোরিদমের চক্রে জীবনে বড় হয়েছে। তাদের ভালোবাসা শুরু হয় গুগল মিটে, অভিমান শেষ হয় স্প্যাম অ্যাকাউন্টে। তারা জানে কোথায় মিম, কোথায় মেলটডাউন—সবই ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে।

এই দুই দলের মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধ চলছে: একপক্ষ অন্যকে দেখে ভেবে ফেলে, “তুমি কি এখনো বোজ্যাক দেখো?” আর অন্যপক্ষ ভাবে, “এই কি সেই দিদি যে কর্ণাটক আইপিএল না জিতলে ইনস্টাগ্রাম ডিএক্টিভেট করে?”

এবং ক্রক্স? এখন শুধুই জুতো নয়, একটি ঘোষণা—“"আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভালবাসি, বিদ্রুপ পেতে নয়।”

এই বিভাজিত প্রজন্মের মাঝে কোথাও এক চিলতে ঐক্য আছে—আর তা হলো, সবাই জানে কিভাবে নিজেকে নিয়েই মজা করে অপমান করতে হয়।