আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুই পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গেই ছিল সুসম্পর্ক। প্রিয় বন্ধু ছিলেন তাঁরা। সেই সঙ্গীদের সঙ্গে যে রাতে উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠেছিলেন, সেদিনই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটালেন প্রাপ্ত বয়স্ক ছবির নায়ক। খুনের আগে দুই পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হন। খুনের পর তিনি যা করেন, তা দেখে আরও চমকে ওঠে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠেছে সকলে। 

জানা গেছে, দুই পুরুষ সঙ্গীকে নৃশংসভাবে খুনের পর নগ্ন করে নাচানাচি করছিলেন তিনি। এমনকী তাঁদের রক্ত সারা গায়ে মেখে একা একাই উদযাপন করছিলেন। কয়েক ঘণ্টা পর দেহ দু'টি লোপাটের চেষ্টা করতে গিয়েই ধরা পড়েন তিনি। সেই ঘটনার একবছর পর প্রাপ্ত বয়স্ক ছবির নায়ককে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। যদিও আদালতে ঘাতক যুবক জানিয়েছিলেন, তিনি একজনকে খুন করেছিলেন। তাঁর সঙ্গী আগেই অন্যজনকে খুন করেন। 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালে ঘটনাটি ঘটেছিল লন্ডনে। পুলিশ জানিয়েছে, দুই পুরুষ সঙ্গীকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রাপ্ত বয়স্ক ছবির নায়ক ইয়োস্টিন অ্যান্ড্রেস মসকেরা। গত বছর জুলাই মাসে অ্যালবার্ট আলফ্যানসো ও পল লংওয়ার্থকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করেছিলেন তিনি। দুইটি খুনের ঘটনায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। 

আরও পড়ুন: একাধিক যুবকের সঙ্গে মেলামেশা, প্রেম! বধূর কেচ্ছা লিপস্টিক দিয়ে দেওয়ালে লিখল লিভ-ইন সঙ্গী, তারপরেই হাড়হিম

পুলিশ জানিয়েছে, খুনের পর মসকেরা যা যা করেছিলেন, তা ছিল আরও ভয়ঙ্কর। দুই পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে তিনি উদ্দাম যৌনতায় মেতেছিলেন। অ্যালবার্টের ফ্ল্যাটেই 
এর কিছুক্ষণ পরেই দু'জনকে তিনি খুন করেন। খুনের পর তিনি নগ্ন হয়ে গান চালিয়ে নাচানাচি করেন। তারপর মৃত দুই সঙ্গীর রক্ত গায়ে মেখে নেন। গোটা ঘটনাটির ভিডিও করেছিলেন তিনি। 

খুনের পর দেহ দুটি লোপাটের চেষ্টা করেন। প্রথমে ওই ফ্ল্যাটেই লুকিয়ে রেখেছিলেন। এরপর সুটকেসে ভরে দেহ দুটি নির্জন এলাকায় ফেলে দিতে যাচ্ছিলেন। সুটকেস হাতে মসকেরাকে দেখে ফেলেন এক সাইকেল আরোহী। তিনিই প্রথমে চিৎকার করে লোক জড়ো করার চেষ্টা করেন। সুটকেস ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মসকেরা। সেই সময় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। 

একবছর ধরে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছিল। মসকেরা আদালতে জানিয়েছিলেন, তিনি তিনি শুধুমাত্র অ্যালবার্টকে খুন করেছিলেন।‌ অ্যালবার্ট ও পলের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রিয় বন্ধু ছিলেন তাঁরা একে অপরের। সেই সম্পর্কের মাঝেই ঢুকে পড়েন মসকেরা। দু'জনের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক থাকলেও, অ্যালবার্টের সঙ্গে মসকেরার ঘনিষ্ঠতা বেশি ছিল। মসকেরার দাবি ছিল, অ্যালবার্ট পলকে খুন করেছিলেন।‌এরপর তিনি অ্যালবার্টকে খুন করেন। 

আইনজীবী জানান, হত্যাকাণ্ডের আগে তিনজনে একসঙ্গে যৌনতায় মেতেছিলেন। এর আগেও নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন তিনজনে। বিভিন্ন ক্লাবে, জিমে মসকেরাকে নিয়ে যেতেন অ্যালবার্ট। খুনের পর অ্যালার্টের ল্যাপটপ ব্যবহার করে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা চুরির চেষ্টা করেছিলেন মসকেরা। কলম্বিয়ায় নিজের একটি অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কয়েক হাজার টাকা পাঠাতে পারলেও, তারপর আর পারেননি।