আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্ষমতায় ফিরেই একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারমধ্যে অন্যতম শুল্কনীতি।  ইতিমধ্যেই বুধবার থেকে আমেরিকা চীনের উপর ১০৪ শতাংশ হারে শুল্কের প্রয়োগ করবে বলে ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস। বুধবার থেকে ভারত থেকে আমেরিকায় রপ্তানি হওয়া দ্রব্যের উপরেও ২৬ শ্তাংশ শুল্ক প্রয়োগের নিয়ম কার্যকরী হয়ে গেল। তবে আশার কথা ছিল, যেসব দ্রব্যের উপর এই শুল্ক-নীতি প্রয়োগ করেছে আমেরিকা, ওষুধ, ওষুধ তৈরির কাঁচামাল-সহ বেশকয়েকটি দ্রব্য এর বাইরে ছিল।

 

কিন্তু আশাভঙ্গের ইঙ্গিত। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ওই আশাও আর থাকছে না। ওষুধ এবং চিকিৎসাজাত পণ্যের উপরেও শুল্ক প্রয়োগ করতে চলেছেন ট্রাম্প। তেমনটাই ইঙ্গিত। 

 

ন্যাশনাল রিপাবলিকান কংগ্রেসনাল কমিটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দেন, ‘আমরা খুব তাড়াতাড়ি ওষুধের উপর একটি বড় শুল্ক ঘোষণা করতে যাচ্ছি।‘ একই সঙ্গে জানিয়েছেন ওষুধ এবং চিকিৎসাজাত পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের পিছনে কারণ। জানান, বিভিন্ন দেশের এইসব পণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে আমেরিকায় স্থানান্তরিত করে লগ্নি টানতে উৎসাহিত করাই লক্ষ্য। ট্রাম্পের বক্তব্য, তাঁর এই সব সিদ্ধান্তে আদতে সুবিধা হবে আমেরিকারই। 

 

এতে কতটা সমস্যায় পড়বে ভারতীয় সংস্থাগুলি? কেনই বা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে তারা? সমস্যার মূল কারণ, আমেরিকা ভারতের ওষুধজাত পণ্যের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। ফার্মাসিউটিক্যালস এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তথ্য, ২০২৪-অর্থবর্ষে ভারতের ২৭.৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ওষুধ রপ্তানির ৩১ শতাংশ বা ৮.৭ বিলিয়ন ডলার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই রপ্তানি হয়েছে।তথ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় জেনেরিক ওষুধের ৪৫ শতাংশেরও বেশি এবং বায়োসিমিলার ওষুধের ১৫ শতাংশ ভারত থেকেই রপ্তানি হয়। ডঃ রেড্ডি'স, অরবিন্দ ফার্মা, জাইডাস লাইফসায়েন্সেস, সান ফার্মা এবং গ্ল্যান্ড ফার্মার মতো সংস্থাগুলি তাদের মোট আয়ের ৩০-৫০ শতাংশ আমেরিকান বাজার থেকেই আয় করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওষুধ এবং চিকিৎসাজাত পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করলে তা ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি, দু’ জায়গায় বড় প্রভাব ফেলবে।