আজকাল ওয়েবডেস্ক: চিন তার প্রযুক্তি দিয়ে এবার ফের একবার বিশ্বকে অবাক করতে চলেছে। তাদের এই নতুন কাজের ফল কী হতে পারে তা নিয়ে চিন্তিত বাকি দেশগুলি।


চিন এবার বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে জলের নিচে একটি গবেষণাগার তৈরি করতে চলেছে। সেখানে সমুদ্রের নিচের গ্যাস, শক্তি নিয়ে গবেষণা করা হবে। এই কাজকে তারা কোল্ড স্লিপ জোন হিসেবে নাম দিয়েছে। সমুদ্রের নিচে তৈরি এই গবেষণাগারে ছজন বিজ্ঞানী থাকবেন। অর্থাৎ জলের নিচে থাকার সমস্ত ধরণের ব্যবস্থা করা হবে এখানে।


সমুদ্রের নিচে থেকে এরা মাসের পর মাস গবেষণা করবেন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে বেজিং। চিনের দাবি সমুদ্রের নিচে ৮০ বিলিয়ন টন তেলের একটি খনি রয়েছে যেটি এতগুলি বছর ধরে কারও নজরে আসেনি। যদি এই তেল তারা পেয়ে যায় তাহলে তারা বিশ্বের তেলের বাজারকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

 


এই কাজকে চিন ২০৩০ সালের মধ্যেই শেষ করতে চাইছে। এটি যদি তৈরি করা হয়ে থাকে তাহলে সেটি হবে চিনের কাছে সবথেকে বড় একটি প্রাপ্তি। দক্ষিণ চিনের অন্তর্গত যে সমুদ্র রয়েছে সেখানে ইতিমধ্যেই চিনের সেনারা রয়েছে। সেটি তাদের কাছে মিলিটারি হটস্পট। সেখান থেকেই চিনের এই কাজটি শুরু হবে বলেই খবর। গোটা বিষয়টি দেখভাল করবে চিনের সেনারা। তারাই এই মিশনকে সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব নিয়েছে। 

 


চিনের দাবি সমুদ্রের নিচে যে বিরাট গ্যাসের ভান্ডার রয়েছে সেখানেও তারা পাইপলাইন বসাবে। সেখানে প্রচুর পরিমানে মিথেন গ্যাস রয়েছে সেগুলিকে বাইরে নিয়ে আসা হবে। বর্তমানে চিনের ৮৫ শতাংশ তেল রপ্তানি করা হয় মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার মাঝের একটি সরু জায়গা দিয়ে। তবে চিন মনে করছে এই পথটি আগামীদিনে বন্ধ করে দিতে পারে আমেরিকা। ফলে তারা আগে থেকেই সমুদ্রের নিচের এই খনিকে কাজে লাগাতে চান।

 


বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যদি চিন নিজের এই কাজে সফলতা অর্জন করতে পারে তাহলে তারা নিজেরা অনেকটা আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে পারবে। তখন বাকি দেশগুলির সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অবস্থান অন্য মোড় নিতে পারে।