আজকাল ওয়েবডেস্ক: খালেদা জিয়া। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘকাল। এখন নাকি তিনি সুস্থ। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে লড়াইও করবেন। বাংলাদেশের সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বুধবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু জানিয়েছেন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে তাতে অংশ নেবেন বিএনপির চেয়ারপার্সন, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। 

তিনি ঠিক কী বলেছেন? বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিশ্বাস করতে চাই, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। দেশে এখন যে অবস্থা ফেব্রুয়ারি আগেই নির্বাচন হতে পারে। হয়তো জানুয়ারিতেও হয়ে যেতে পারে। নির্বাচন হলে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন। নির্বাচন হলে তিনি অংশগ্রহণ করবেন।‘ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর তেমনটাই।

বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের একাধিক কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি। বারবার ওই রাজনৈতিক দল নির্বাচন চেয়ে এসেছে অন্তবর্তী সরকারের কাছে। তার মাঝেই খোদ খালেদার ভোট লড়ার বিষয়টি সামনে এসেছে, পদ্মাপারের রাজনীতিতে তা বড় খবর বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: ওষুধ কিনতে মাথায় হাত! ট্রাম্পের জেদে বিপাকে পড়বেন আমেরিকানরাই? ফোন থেকে পোশাক, অতিরিক্ত মূল্য চোকাতে হবে কোন কোন দ্রব্যে

সত্তর বছর পেরিয়ে ফের খালেদা ভোট লড়বেন, এই জল্পনা যদিও পদ্মাপারে আগেও ছিল। মাসখানেক আগে থেকেই সেখানে জল্পনা চলছিল, বেশ কয়েকটি আসন নিয়েও। সম্ভাব্য যে আসনগুলিতে ভোট লড়তে পারেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে আমূল বদলে গিয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। কোটা বিরোধী আন্দোলনে দীর্ঘ সময় ওপার বাংলা উত্তাল থাকার পর, আগস্টে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে বাংলাদেশ ছাড়েন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার অব্যবহিত পরেই দায়িত্ব নেয় সেনা। তারপরেই গঠন হয় বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার। অন্তবর্তী সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তেও গত কয়েকমাসে বারে বারে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছে ওপার বাংলায়। 

 তারমধ্যে রয়েছে নিয়ম বদলও। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, জুলাইয়ের শুরুতেই সে দেশে বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বদলে যাবে হাসিনার আমলের ‘সম্বোধন’ নিয়ম। এতদিন বাংলাদেশে পুরুষ আধিকারিকদের সঙ্গে মহিলা আধিকারিকদেরও ‘স্যার’ বলেই সম্বোধন করা হত। 

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর, প্রথমে এই ‘স্যার’ সম্বোধনের নিয়ম শুরু করেন নিজের জন্য। তখন সকল আধিকারিক তাঁকে স্যার বলেই সম্বোধন করতেন। পরিবর্তী কালে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, কেবল তাঁকেই নয়, প্রশাসনের সকল মহিলা আধিকারিক, পদাধিকারীদের স্যার বলেই সম্বোধন করা হবে। সম্মান, সম্বোধনে তিনি হয়তো ফারাক রাখতে চাননি।  


তবে এই সম্বোধন সমাজের জন্য যথাযথ মনে করছেন না ইউনূস। অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের উপদেষ্টা পরিষদ মনে করছে, এই নিয়ম সামাজিক এবং প্রতিষ্ঠানগত ভাবে যথাযথ নয়। একই নিয়ম কাম্য নয় বলেও মত কমিটির। আর সেই কারণেই বদল আসছে নিয়মে। অর্থাৎ এবার থেকে বাংলাদেশের মহিলা পদাধিকারীদের আর ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করার রীতি থাকছে না।  তাহলে কী বলে সম্বোধন করা হবে? তা ঠিক করবে কমিটি। বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ‘স্যার’-এর বদলি কোনও শব্দের।