আজকাল ওয়েবডেস্ক: দীপাবলির প্রস্তুতি চলছিল জোরকদমে। বাড়িতেই মজুত রাখা পুরনো আতশবাজি ছাদে শুকোতে দিয়েছিলেন এক তরুণী। তাতেই ঘটল বিপত্তি। আতশবাজি তুলতে গিয়েই ঘটল ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ। কেঁপে উঠল গোটা বাড়ি। গুরুতর আহত হয়েছেন ওই তরুণী। বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মুজাফফরনগরে। খাতুলি শহরে এক বাড়িতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাড়ির ছাদে পুরনো আতশবাজি রেখেছিলেন এক তরুণী। সেই বাজি বিস্ফোরণেই গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি‌। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। 

 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ইসলামনগর এলাকায় বাড়ির ছাদেই পুরনো কিছু আতশবাজি রেখে শুকোতে দিয়েছিলেন ওই তরুণী। আহত তরুণীর নাম, আশি। ৩০ বছর বয়সি তরুণী ছাদে গিয়ে আতশবাজিগুলি দেখতে গিয়েছিলেন। তখনই ছাদে আতশবাজি বিস্ফোরণ হয়। গুরুতর আহত হন তিনি। 

 

পুলিশ আধিকারিক সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, বিকট শব্দ শুনেই পরিবারের সদস্যরা ছুটে যান ছাদে। দগ্ধ অবস্থায় তরুণীকে তড়িঘড়ি করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। বর্তমানে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, আতশবাজিগুলি কয়েকবছরের পুরনো ছিল। ছাদে শুকোতে দেওয়া হয়েছিল। রোদের তাপে পুরনো আতশবাজি বিস্ফোরণ হয়। 

 

সামনেই দীপাবলি। তার জন্যেই আতশবাজিগুলি বাড়ির ছাদে শুকোতে দিয়েছিলেন ওই তরুণী। আতশবাজি বিস্ফোরণে শুধুমাত্র তরুণীই নন, বাড়িটিরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছাদ থেকে বাড়ির দেওয়াল পর্যন্ত, বেশ খানিকটা জায়গায় ফাটল ধরেছে। 

 

আরও পড়ুন: স্কুলের শৌচালয়ে পা রাখতেই বিপদ! বাথরুমের দরজা বন্ধ করে যৌন লালসার শিকার ৭ বছরের ছাত্রী, শিউরে ওঠা কাণ্ড এই রাজ্যে

 

প্রসঙ্গত, গতবছর নভেম্বর মাসে ক্লাসরুমে বাজি ফাটিয়ে কড়া পদক্ষেপের সম্মুখীন হয়েছিল একদল ছাত্র। আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা ক্লাসরুম। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। চেয়ার থেকে ছিটকে মাটিতে পড়ে যান শিক্ষিকা। চেয়ারে তখন দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। শব্দ শুনে সকলের মনে হয়েছিল, সম্ভবত বোমা ফেটেছে। দ্রুত শিক্ষক, পড়ুয়ারা ছুটে আসেন। তখনও টের পাওয়া যায় আসলে কী ঘটেছে। কিছুক্ষণ পর জানা গেল, গোটাটাই দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পরিকল্পিত একটি ঘটনা। যা দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠেছেন বাকি শিক্ষকরাও। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানায়। স্কুলে ঠিকমতো পড়াশোনা না করার জন্য শিক্ষিকা তুমুল বকাঝকা করেছিলেন একদল দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াকে। সেই বকা ভুলতে পারেনি কেউ। প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করেন, ক্লাসরুমেই 'শিক্ষা' দেবেন শিক্ষিকাকে। 

 

ইউটিউব দেখে বোমার মতো বাজি বানানো শেখে পড়ুয়ারা। যেটি রিমোট টিপে ইচ্ছেমতো ফাটানো যায়। সেই বাজি বানিয়ে ক্লাসরুমে শিক্ষিকার চেয়ারের তলায় আটকে দিয়েছিল তারা। ক্লাসরুমে ঢুকে স্বাভাবিকভাবেই চেয়ারে বসেছিলেন শিক্ষিকা। বেঞ্চে বসেই রিমোট টিপে বাজিটি ফাটিয়ে দেয় এক ছাত্র। বাজি ফাটতেই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে ঘর। শিক্ষিকা পড়ে যান চেয়ার থেকে। পুড়ে ছারখার হয় চেয়ারটি। 

 

যদিও এই ঘটনায় শিক্ষিকার কোনও চোট লাগেনি। কিন্তু ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য জুড়ে। হরিয়ানা শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে দ্বাদশ শ্রেণির ১২ জন পড়ুয়াকে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। স্কুলের তরফে আরও কড়া পদক্ষেপ করা যেতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।