আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের জন্য কয়েক মাসের প্রস্তুতি। কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ধুমধাম বিয়ে। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে পরেই নতুন সংসারে ফাটল। শ্বশুরবাড়িতে পা রাখার পরেই বিয়ে ভাঙার ঘোষণা করলেন নববধূ। যে ঘটনাটি ঘিরে শোরগোল গোটা এলাকায়। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর সালমেপুরের পূজা ও ভালুয়ানির বিশাল মাধেসিয়া বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিশালের বাবার ছোট্ট মুদি দোকান রয়েছে। সেদিন সন্ধ্যায় বরযাত্রীদের শোভাযাত্রা পৌঁছয় বিয়ের আসরে। সেদিনই সমস্ত আচার, রীতি মেনে বিয়ে সম্পন্ন হয়। 

এরপরই শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন পূজা। বরযাত্রীদের সঙ্গেই নতুন বাড়িতে পৌঁছন তিনি। কিছুক্ষণ পরেই বরের ঘরে প্রবেশ করেন। ২০ মিনিট পর সেই ঘর থেকে বেরিয়েই বিয়ে ভাঙার ঘোষণা করেন পূজা। বিশালের সকল আত্মীয়স্বজন, পরিবারের সামনেই বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত জানান তিনি। প্রথমে সকলেই ভেবেছিলেন পূজা মজার ছলে এই ঘোষণা করেছেন। কিন্তু কেন রাতারাতি এই বড় পদক্ষেপ করলেন, তা সকলেই জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু পূজা মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। 

বিয়ের দিই নিজের বাড়িতে ফিরে যাবেন বলে জানান পূজা। কিন্তু বিয়ে ভাঙার কারণ কাউকে জানাননি। সকলেই তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বারবার তিনি বলতে থাকেন, 'আমার পরিবারকে এখানে ডাকুন। আমি বাড়ি যাব।' এরপর তাঁর পরিবারকে বিশালের পরিবার ডেকে পাঠায়। ২৬ নভেম্বর পঞ্চায়েতে বৈঠক বসে। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা আলোচনা করে দুই পরিবার।‌ 

দীর্ঘ আলোচনার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। দুই পরিবার বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে যায়। তবে কী কারণে পূজা এহেন সিদ্ধান্ত নিলেন, তা অজানাই থেকে গেছে সকলের কাছে। বিশাল জানিয়েছেন, দেখাশোনার পর্ব থেকেই পূজা নর্মাল আচরণ করছিলেন। তাঁর আচরণে কখনও সন্দেহ হয়নি। নতুন বাড়িতে পা রেখেই কেন বিয়ে ভাঙলেন, তা ঘিরে ধোঁয়াশায় তিনিও। 

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে মে মাসে আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। সকলের চোখে 'আদর্শ যুগল'! দু'জনে যেন একে অপরের পরিপূরক। প্রেমে হাবুডুবু খেতেন দু'জনেই। মাঝে মাঝে ঝামেলা হলেও মিটমাট হয়ে যেত দ্রুত। দু'জনের রসায়ন দেখে বাইরে থেকে অনেকে অবাক হয়ে যেতেন। সেই 'আর্দশ যুগল'-এর বিয়ে টেকেনি এক ঘণ্টাও। বিয়ের কয়েক মিনিট পরেই তরুণী জানতে পারলেন স্বামীর আসল কেচ্ছা। 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মেলবোর্নের বাসিন্দা কাইলি সম্প্রতি একটি রেডিও চ্যানেলে হৃদয়বিদারক ঘটনাটি শেয়ার করেছেন। তরুণী জানিয়েছেন, সারাজীবন একে অপরের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি নেওয়ার কয়েক মিনিট পরেই বিয়ের আসর থেকে স্বামী গায়েব হয়ে যান। অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারেন, তাঁর তুতো বোনের সঙ্গেই পালিয়ে গেছেন স্বামী। 

তরুণী জানিয়েছেন, ছ'বছর প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন তাঁরা। একসঙ্গেই বিয়ের পরিকল্পনা করেন। বিয়ের দিন হাসিখুশি মেজাজেই ছিলেন তিনি। প্রতিশ্রুতি নেওয়ার পরেও আত্মীয়ের সঙ্গে আড্ডা দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ঠিক কয়েক মিনিট পর বিয়ের আসরে আর তাঁকে পাওয়া যায়নি। সব জায়গায় খুঁজতে শুরু করেন। সেই দিন থেকে এখনও পর্যন্ত যুবকের আর দেখা পাননি তরুণী। এমনকী কোনও বার্তাও পাঠাননি। 

তরুণী জানান, তাঁর তুতো বোনের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন যুবক। বিয়ের দিন সেই বোনের সঙ্গে পালিয়ে যান‌। কেউ কাউকে বুঝতে দেননি। দু'জনের কেচ্ছা জানতে পেরে আত্মীয়রাও চমকে ওঠেন।