আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিদিনের মতই কাজ করছিলেন চেয়ারে বসে। হঠাই চেয়ার থেকে পড়ে যান মহিলা। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় মহিলার। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মৌতে। মানসিক চাপেই এমন অবস্থা বলে জানিয়েছেন সতীর্থরা।
 

 

মঙ্গলবার ব্যাঙ্কে কাজ করছিলেন সাদাফ ফাতিমা নামে ওই মহিলা। ওই ব্যাঙ্কের গোমতীনগর শাখায় কাজ করাকালীন চেয়ার থেকে পড়ে যান তিনি। অচৈতন্য অবস্থায় সহকর্মীরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।

 


ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ ওই ব্যাঙ্কের অন্যান্য কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা জানায়, কিছুদিন ধরে অফিসে কাজের চাপে ছিলেন ফাতিমা। ভুগছিলেন মানসিক অবসাদে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান সেই চাপ সহ্য করতে না পেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।  

 


এর আগে চলতি বছরে আনা সেবাস্টিয়ান নামে ২৬ বছর বয়সী এক মহিলা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট কাজের চাপে সুইসাইড করেন। তাঁর মা মেয়ের কোম্পানির চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখে অভিযোগ করেন যে কাজের চাপ এবং অত্যধিক কাজের সময় তার মেয়ের উপর প্রভাব ফেলেছে। সেই থেকেই এই কাণ্ড ঘটেছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এর পরে ৩৮ বছর বয়সী এক ইঞ্জিনিয়ার পরিবারের লোকেদের অনুপস্থিতিতে আত্মহত্যা করেন নিজের বাড়িতে। তিনিও অফিসে কাজের পরিবেশ নিয়ে সুখী ছিলেন না, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।

 


মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানেই পরপর এরকম ঘটনা। সমাজবাদী পার্টির (এসপি) প্রধান অখিলেশ যাদব ঘটনাটিকে "উদ্বেগজনক" বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এটি ‘দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক চাপের প্রতীক’। এই ঘটনা দেশের মানবসম্পদের অপূরণীয় ক্ষতি। এ ধরনের আকস্মিক মৃত্যু কাজের পরিবেশের ওপর প্রশ্ন তোলে। কোনও দেশের অগ্রগতির আসল পরিমাপ পরিষেবা বা পণ্যের পরিসংখ্যান বৃদ্ধি নয় বরং একজন ব্যক্তি কতটা মানসিকভাবে সুস্থ এবং সুখী সেটা দেখা। এ় জন্য তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিকে একহাত নেন। বলেন, বিজেপি সরকারের ব্যর্থ অর্থনৈতিক নীতির কারণে, সংস্থাগুলির ব্যবসা এতটাই কমে গেছে যে তাদের ব্যবসা বাঁচাতে তারা কম লোককে বহুগুণ বেশি কাজ করতে বাধ্য করে।