আজকাল ওয়েবডেস্ক: মানুষ কৌতূহলী প্রাণী। নিজের জীবনের চেয়েও কখনও কখনও অন্যের ঘরে কী হচ্ছে, তা জানার আগ্রহই যেন বেশি। সম্প্রতি সেই প্রবণতারই একটি উদাহরণ সামনে এসেছে, যা দেখে হাসছে এবং চমকেও উঠছে নেটিজেনরা। সিসিটিভি ফুটেজে ‘অদ্ভুত’ দৃশ্য দেখে নেট পারে হইচই। ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়া এক সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ভারতের এক মহিলা নিজের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে করিডরে হাঁটছেন। কিছুক্ষণ পর দরজার কাছে গিয়ে হঠাৎ পাশের ফ্ল্যাট থেকে ভেসে আসা কথোপকথনের শব্দ কানে আসে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফিরে এসে প্রতিবেশীর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে মন দিয়ে কান পাততে থাকেন।

ফুটেজ ভাইরাল হতেই নেটপাড়ায় ঠাট্টা-মশকরা শুরু। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই নেটিজেনরা নানা রসিকতা শুরু করেছেন। একজন লিখেছেন, “আমাদের পাড়ায়ও এক দিদি ছিলেন, যিনি সবসময় অন্যদের ছাদে বা জানালায় উঁকি মারতেন। আমরা ওনাকে ডাকতাম ‘চিপকালী’।” আরেকজনের মন্তব্য, “পিক ফিমেল কনটেন্ট।” কারও মন্তব্য, “দেওয়ালেরও কান আছে।” আবার কেউ লিখেছেন, “আন্টি এখন সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন।” এক ব্যবহারকারী মজা করে লিখেছেন, “এমন মানুষদের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো বা র’ তে রিক্রুট করা উচিত।”
অন্য এক মন্তব্য— “এরা ধরা পড়লেই সোসাইটির মিটিংয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা সরানোর দাবি তোলে।” কেউ আবার ভবিষ্যতের সতর্কবার্তা দিয়ে লিখেছেন, “নিজের জীবনে এত বিনিয়োগ করো যাতে একদিন এমন উঁকিমারি আন্টি না হয়ে যাও।” আরেকজনের মন্তব্য, “জীবনে কিছু আকর্ষণীয় না থাকলে, এরা অন্যের জীবনকেই বিনোদনের মাধ্যম বানায়।”

আরও পড়ুন:  ২০২৪ সালের মধ্যে পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের থাকার অনুমতি দেওয়া হবে, সিএএ সংশোধনী প্রকাশ করে জানাল কেন্দ্র

সমর্থনও এসেছে মহিলার প্রতি। তবে সমালোচনার পাশাপাশি কয়েকজন নেটিজেন মহিলার পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। একজন লিখেছেন, “হয়তো তিনি চিন্তিত ছিলেন, কিছু অস্বাভাবিক শব্দ শুনেছিলেন।” অন্যজন মন্তব্য করেন, “যদি ভেতরে ঝগড়া বা বিপদ ঘটে থাকে, তবে সিসিটিভি নয়, এই আন্টিই হয়তো সবচেয়ে আগে তা বুঝতে পারতেন। এটা নিয়ে হাসাহাসি করা ঠিক নয়।”

আরও পড়ুন: মহাকাশের ‘মহা চ্যালেঞ্জ’, নিজেই সকলকে দেখালেন শুভাংশু শুক্লা, রইল ভিডিও

তবে আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবেশীর ঘরে উঁকি মারা বা কান পাতা শুধু সামাজিকভাবে বিব্রতকর নয়, বরং আইনের চোখে অপরাধ। এমন কাজের জন্য ভয়্যোরিজম সংক্রান্ত ধারায় মামলা হতে পারে। এর ফলে জরিমানা থেকে শুরু করে জেল পর্যন্ত শাস্তি হতে পারে। একদিকে নেটপাড়ায় হাসি-ঠাট্টা, অন্যদিকে সমালোচনা আর আইনগত সতর্কবার্তা— সব মিলিয়ে ভিডিওটি এখন চর্চার কেন্দ্রে। ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করল, কৌতূহল যখন মাত্রা ছাড়ায়, তখন তা হাসির খোরাক তো বটেই, কখনও কখনও মারাত্মক সমস্যার কারণও হতে পারে।