আজকাল ওয়েবডেস্ক: লোকসভার ভোট ইন্ডিয়া জোট এনডি-এ কে কড়া টক্কর দিলেও, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটে ছবি উল্টে গিয়েছে একেবারে। ২০০-এর বেশি আসনে বিপুল মার্জিনে এগিয়ে বিজেপি চালিত এনডিএ জোট। বিজেপি মহারাষ্ট্রে জিতছে নিশ্চিত। কিন্তু জয় ঘোষণার আগেই একপ্রকার চিন্তায় বিজেপি। কারণ? কারণ, মহারাষ্ট্রের কুরশি দেবে কাকে?
গত কয়েকবছর ধরে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি লক্ষ করলেই দেখা যাবে, বারবার পালাবদল ঘটেছে সে রাজ্যে। প্রথমে বালা সাহেবের শিবসেনায় ভাঙন এবং তার পরেই শরদ পাওয়ারের এনসিপি-তে ভাঙন। শিবসেনার ভাঙনই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে পালাবদল ঘটিয়েছিল মূলত। শিবসেনার ভাঙন ঘটিয়ে একগুচ্ছ বিধায়কদের নিয়ে একনাথ শিন্ডে আলাদা হয়েছিলেন বলেই, মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসেছিল গেরুয়া শিবির। রাজনীতির মারপ্যাঁচের মাঝে দাঁড়িয়ে মহারাষ্ট্রের এক সময়ের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র সেই আসন ছেড়েছিলেন শিন্ডেকে। উপমুখ্যমন্ত্রী হন। পরে অজিত পাওয়ার কাকার হাত ছেড়ে বিজেপি ঘনিষ্ঠ হতেই তঁকেও দেওয়া হয় উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ।
কিন্তু এবার? এবার কোনও দল ভাঙিয়ে নয়, আস্থা ভোটেও নয়, বিধানসভা ভোট জিতছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপির কাছে ভোট জেতার থেকেও এখন বড় চ্যালেঞ্জ, মুখ্যমন্ত্রীর পদে কাকে বসাবেন তা নিয়ে। একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ না দিলে, তিনি কি ফিরে যাবেন আবার শিবসেনায়? অন্যদিকে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ কি এবারও দলের কথা ভেবে মেনে নেবেন উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ? নাকি কুরশি না পেলে, বিক্ষোভ হবে দলের ভেতরেই?
২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্রে, ২২০ আসনে এগিয়ে বিজেপি জোট। নাগপুর দক্ষিণ পশ্চিম থেকে লড়ছেন দেবেন্দ্র, কোপরি পাচপাখাদি কেন্দ্র থেকে লিড দিচ্ছেন শিন্ডে।হারাষ্ট্র। দেশের রাজনীতিতে উত্তরপ্রদেশের মতো তার ভূমিকা না হলেও, নেহাত কম নয়। আর গত কয়েকবছরে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি যে খাতে বইছে, তাতে ভোটের আগে থেকেই উত্তেজনা চরমে।
