আজকাল ওয়েবডেস্ক: অদ্ভুত ঘটনা ঘটল কানপুরের মরিয়মপুর রেললাইনের কাছে নাজিরাবাদ থানা এলাকায়। এখানেই পাশাপাশি দুই ভাইয়ের বাড়ি। বিনোদ কুমার এবং অনিল কুমার। পেশায় তাঁরা ই-রিকশা চালক। রাতে চোর হানা দিয়েছিলেন এই দুই ভাইয়ের বাড়িতে। 

মদ্যপ অবস্থায় চোর প্রথমে গভীর রাতে বিনোদের বাড়িতে ঢুকে আলমারির তালা ভেঙে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। তারপর সে পাশের অনিলের বাড়িতে ঢুকে আবার আলমারি ভেঙে গয়না ও নগদ টাকা চুরি করে।

পর পর দু'টি বাড়ি থেকে চুরি করার পর চোরটি ক্লান্ত হয়ে পড়েন। শেষে চোর অনিলের বাড়ির ভিতরে একটি বিছানায় শুয়ে পড়ে এবং ঘুমিয়ে পড়ে।

পরদিন ভোরে, ই-রিকশা চালক অনিল কুমার ঘুম থেকে উঠে তাঁর বাড়িতে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখে হতবাক হয়ে যান। ভয় পেয়ে তিনি ঘর পরীক্ষা করেন। দেখেন, ঘরের আলমারি ভাঙা এবং সেখানে মূল্যবান জিনিসপত্র গায়েব।

তখন অনিল ঘুমন্ত চোরের ব্যাগপত্র তল্লাশি করেন। হদিশ পান চুরি যাওয়া গয়না এবং নগদ টাকার। হট্টগোল শুনে অনিলের স্ত্রী বাবলিও জেগে ওঠেন এবং চোরের কাছে তাঁর হারিয়ে যাওয়া গয়না দেখতে পান। এরপর তাঁরা চিৎকার জুড়ে দেন। ছুটে আসেন ক্ষুব্ধ প্রতিবেশীরা। চোরকে মারধর শুরু হয়। তারপর তাকে নাজিরাবাদ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আপাতত ক্লান্ত চোর শ্রীঘরে।

দিন কয়েক আগেই ত্রিপুরাতে প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল। চুরি করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল চোর। চোরের এই আজব ঘুম দেখে চোখ কপালে ওঠে বাড়ির লোকেদের। ডাকাডাকিতেও না ওঠায় ডাকা হল পুলিশকে, কিন্তু চোরের ঘুম ভাঙাতে পুলিশেরও কালঘাম ছুটল। এক বালতি জল ঢেলে চোরের ঘুম  ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে হল থানায়। এই আজব ঘটনাটি ঘটেছিল ত্রিপুরার উত্তর জেলার ধর্মনগর থানার অন্তর্গত জেল রোডের সৎসঙ্গ লেনে।

ওই এলাকার রাজশ্রী নাথের বাড়িতে এক ভাড়াটিয়া মহিলা ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান এক চোর বাথরুমে দিব্যি ঘুমাচ্ছে। তখন তার চিৎকারে ছুটে আসেন পরিবারের অনান্য লোকজন সহ আশপাশের মানুষ। সকলেই ওই চোরকে ডাকাডাকি করলেও সে দিব্যি ঘুমিয়ে যাচ্ছিল। পরে ধর্মনগর থানায় পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। ধর্মনগর থানার ওসি স্মৃতিকান্ত বর্ধন জানান ধৃতের নাম অখিলেশ রাই। বাড়ি বিহারের পাটনা বলে জানিয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে গাজা উদ্ধার হয়েছে বলেও জানানো হয়। সত্যিই কি চুরির উদ্যেশ্যে সেই বাড়িতে ঢুকেছিল? নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে তা তদন্ত করছে পুলিশ।