আজকাল ওয়েবডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার পিছনে প্রধান কারণ কী ছিল তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। এই ঘটনার একেবারে আসল তথ্যে যাওয়ার জন্য চলছে জোর চেষ্টা। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যেভাবে বিমানটি দুর্ঘটনার পড়েছিল এবং শেষবার পাইলটের মুখ থেকে যে কথা বের হয়েছিল তাতে বিমানের টেকনিক্যাল ফল্টের বিষয়টি অনেক বেশি করে সকলের নজরে আসছে।
এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত সমস্ত কথাই অনুমান করা হচ্ছে। তবে সঠিক তথ্য এখনও তাদের হাতে আসেনি। এই বিষয়টি নিয়ে অন্যরা যে হাত গুটিয়ে বসে নেই তা তাদের কাজ থেকেই স্পষ্ট হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা বা ICAO-র নির্দেশিকা অনুসারে, দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করতে হয়। গত ১২ জুন আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটটি। কিন্তু ওড়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে একটি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল ভবনের উপরে ভেঙে পড়েছিল বিমানটি।
গত মাসে, অসামরিক বিমান পরিবহণ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী মুরলীধর মোহন জানিয়েছিলেন, তদন্তের সময়ে অন্তর্ঘাত-সহ দুর্ঘটনার সম্ভাব্য সকল কারণ বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
মুরলীধর মোহন বলেছিলেন, দু’টি ইঞ্জিনই একসঙ্গে বন্ধ হয়ে গিয়েছে, এমনটা কখনও ঘটেনি। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে, আমরা নিশ্চিত হতে পারব যে ইঞ্জিনের কোনও সমস্যা ছিল নাকি জ্বালানি সরবরাহের সমস্যা ছিল।’
প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন সামনে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। আপাতত সকলে তাকিয়ে আছেন প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের দিকে।
