আজকাল ওয়েবডেস্ক: ধর্মে জামা-কাপড় নিয়ে কোনও ফতোয়া নেই। তবে নিজের শিকড়কে আকড়ে থাকতে হবে। যুব সমাজকে এমনই বার্তা দিলেন 'জিনস পরমার্থ নিকেতন আশ্রমের প্রধান স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী। তাঁর সাফ বক্তব্য, "জিনস পরায় কোনও সমস্যা নেই কিন্তু শিকড় (জিন) ভুললে চলবে না।'
এই প্রসঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে স্বামী চিদানন্দ সদ্য সমাপ্ত মহাকুম্ভের একটি ঘটনার বিষয় তুলে ধরেন। জানান, কুম্ভের সময় এক শিশু, জিনস পরেছিল। আশপাশের সকলকে শাড়ি, ধুতি বা কুর্তায় দেখে তার মন একটু খারাপ হয়। তখন সে এসে স্বামীজিকে জিজ্ঞাসা করেছিল, বড্ড বেমানান লাগছে, তবে কি সে জিনস পরা বন্ধ করে দেবে? তখন ওই বাচ্চাটিকে ঠিক এই উত্তরই দিয়েছিলেন স্বামীজি।
স্বামী চিদানন্দ সরস্বতীর মতে, ভারতের সংস্কৃতি পৃথিবীজুড়ে সমাদৃত। যুব সমাজই সেই সংস্কৃতি এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই কালোত্তীর্ণ ভারতীয় সংস্কৃতির সম্মান ও কদর করতে হবে, শিকড় ভুলে গেলে চলবে না। এই ক্ষেত্রে অবশ্য পোশাককে তেমন দর দিতে রাজি নন স্বামী চিদানন্দ।
মহাকুম্ভের সময় উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের সঙ্গমে ৬৬ কোটিরও বেশি ভক্ত স্নান করেছেন, যার মধ্যে ৫৫ লক্ষ বিদেশী ছিলেন। স্বামী চিদানন্দের মতই নিরঞ্জনী আখড়ার আধ্যাত্মিক প্রধান স্বামী কৈলাশানন্দ গিরি দিল্লির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, টেসলা প্রধান এলন মাস্ক-ও প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে আসতে চান এবং তাঁর শিবিরে থাকতে চান। তাঁর কথায়, "আমি টেসলা প্রধান এলন মাস্কের কাছ থেকে একটি বার্তা পেয়েছি। তিনি বলেছিলেন যে তিনি মহাকুম্ভে আসতে এবং আমার শিবিরে থাকতে চান। স্টিভ জবসের বিধবা স্ত্রী লরেন তাঁকে এই কথা জানিয়েছিলেন।"
স্বামী চিদানন্দ সরস্বতীর মতে, তিনি মহাকুম্ভের সময় মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন দেখেছেন। বলেছেন, "লক্ষ লক্ষ মানুষ বিশ্বাস নিয়ে, ভয় ছাড়াই, মহাকুম্ভে এসেছিলেন। এটি একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা ছিল, যা খণ্ডিত ভারতের ধারনাকে ভেঙে দিয়েছে। যেখানে রাষ্ট্রপতি মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী মোদি স্নান করছেন, সেখানে একজন অতি সাদারণ মানুষও একই কাজ করেছেন। কে বলে ভারত বিভক্ত?"
