আজকাল ওয়েবডেস্ক: বজরং পুনিয়ার হমকি ফোনের ঘটনার তদন্ত হবে, সাজা দেওয়া হবে উপযুক্ত দোষীকে, এমনটাই জানিয়েছেন, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি। বর্তমানে বিজেপি শাসিত রাজ্য হরিয়ানা।

 

 

সামনেই বিধানসভা নির্বাচন হরিয়ানায়। তাই নিয়ে তুমুল উত্তেজনা সে রাজ্যে। শুরু বিজেপি-কংগ্রেস বাকযুদ্ধ। এই ভোটের আবহে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বজরং পুনিয়া। পদকজয়ী কুস্তিগীর বজরং –এর কংগ্রেস শিবিরে যোগ দেওয়ায় এদের পাল্লা ভারী হল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

 

 

অভিযোগ, এরপরই বিদেশি এক ফোন নম্বর থেকে খুনের হুমকি পান কুস্তিগীর। তাঁকে কংগ্রেস ছাড়তে বলা হয়। বলা হয়, দল না ছাড়লে তাঁর আর তাঁর পরিবারের জন্য সুখকর হবে না বিষয়টা। এটাই তাঁর জন্য শেষবার্তা। গোটা ঘটনা জানিয়ে সোনিপত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় কিষাণ কংগ্রেসে চেয়ারম্যান, বজরং পুনিয়া।

 

 

ঘটনাটি প্রচারিত হওয়ার পরই বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী রবিবার জানান, এটির তদন্ত করা হবে এবং যেই দোষী প্রমাণিত হবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।"

 

 

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি এও বলেছেন, যে আগামী অক্টোবরের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য যতই জোট করুক না কেন কংগ্রেস "নিশ্চিহ্ন" হতে চলেছে। পরপর দুবার হরিয়ানায় বিজেপির সরকার চলছে। এবারও বিপুল মার্জিনে তৃতীয়বারের মতো হরিয়ানায় তাঁরাই সরকার গঠন করতে চলেছে বলে জানিয়েছেন সাইনি। তাঁর দাবি, কংগ্রেস এবং আপ কারও ভালো করতে পারে না এটা সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছেন। তারা রাজ্যের জনগণের জন্য নয়, আত্মবিশ্বাসের সুর মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।

 

 

প্রসঙ্গত, আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষ্যে ১৪ সেপ্টেম্বর কুরুক্ষেত্রে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে রাজ্যের বিধানসভায় আসন সংখ্যা মোট ৯০ টি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর। ব্যালট গণনা হবে ৮ অক্টোবর। তারপরই জানা যাবে ২৪ –এর বিধানসভায় শেষ হাসি হাসবে কে?