আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওয়েনাডের অলিতে গলিতে এখন মৃত্যুমিছিল। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এরই মধ্যে এক সরকারি মহিলা চিকিৎসকের মন্তব্য এবার বাড়তি ইন্ধন যোগাল। তার কথাতেই স্পষ্ট কতটা দুর্বিসহ অবস্থা রয়েছে ওয়েনাডে। একটি স্থানীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের সময় তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। একটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য যে সামগ্রী দরকার তার কিছুই সেখানে নেই।


তিনি বলেন, প্রতিটি দেহের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। দেহগুলি একবার দেখলে দ্বিতীয়বার ফিরে দেখতে মন চাইছে না। এই ধরণের দেহ আমি কখনও দেখিনি। জীবনে বহু দেহ দেখেছি কিন্তু এই ধরণের ছিন্নভিন্ন দেহ দেখিনি। এর থেকেই স্পষ্ট এখানে প্রকৃতি কী তাণ্ডব চালিয়েছিল। একটি এক বছরের শিশুর দেহ দেখে আমি চমকে উঠেছি। কিন্তু কিছুই করার নেই। সেদিন ১৮ টি দেহর ময়নাতদন্ত করতে হয়েছে।


মোট আটটি টেবিল রয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য কিন্তু এতগুলি দেহ আসছে যে সেগুলিকে এখানে ময়নাতদন্ত করা যাচ্ছে না। দেখে মনে হচ্ছে এখান থেকে পালিয়ে যাই। পাশাপাশি যারা আহত হয়ে আসছেন তাদের দেহ কিভাবে চিকিৎসা করা হবে সেই নিয়ে চিন্তিত এখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। যত সময় অতিবাহিত হচ্ছে ততই দেহের সংখ্যা বাড়ছে। কোথায় গিয়ে শেষ হবে প্রকৃতির এই তাণ্ডব তা কেউ জানে না।