আজকাল ওয়েবডেস্ক: নির্বাচন কমিশনার বা সিবিআই ডিরেক্টর নিয়োগের জন্য গঠিত কমিটিতে প্রধান বিচারপতিকেরাখার যৌক্তিকতা কী? বড় প্রশ্ন তুললেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমি-র একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন উপরাষ্ট্রপতি। সেই বক্তব্যেরই কিছুটা নিজের এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্ট করেছেন জগদীপ ধনখড়। সেখানে তাঁকে বলতে সোনা যাচ্ছে যে, "গণতান্ত্রিক দেশে সিবিআই ডিরেক্টর বা নির্বাচন কমিশনারের মতো পদে নিয়োগের কমিটিতে প্রধান বিচারপতিকে কেন রাখা হবে?" উপরাষ্ট্রপতির দাবি, "এটা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। কারণ, গণতান্ত্রিক দেশে যেকোনও কাজে প্রধান বিচারপতিকে নয়, জবাবদিহি করতে হয় সরকারকে। তাই সময় এসেছে এই নিয়ম পরিবর্তনের।"
উপরাষ্ট্রপতির কথায়, "গণতন্ত্রে কর্তৃত্বের অহঙ্কারের জায়গা নেই। শাসনকার্যের সবকিছু সরকারের হাতেই থাকা উচিত। বাইরের কারও হস্তক্ষেপ ঘটলে, তা গণতন্ত্রের মৌলিক চরিত্রের পরিপন্থী।"
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের কার্যকালের মেয়াদ। পরবর্তী মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য ওই দিনই বৈঠক হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ধনখড়ের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
এতদিন নির্বাচন কমিশনার বা সিবিআই ডিরেক্টর নিয়োগের কমিটির সদস্য হতেন প্রধান বিচারপতি। সম্প্রতি নয়া কমিটি থেকে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়েছে মোদি সরকার। যা নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়। আগামী সপ্তাহেই রয়েছে ওই মামলার শুনানি
এই সংক্রান্ত মামলায় ২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল যে, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধান বিচারপতিকে রাখতে হবে। এরপরই নয়া আইন এনে ওই কমিটি থেকে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেয় কেন্দ্র।
বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থেই নির্বাচন কমিশনারের মতো নিরপেক্ষ সংস্থার পদাধিকারী বাছাইয়ের কমিটি থেকে প্রধান বিচারপতিকে সরিয়েছে মোদী সরকার।
